বাড়িবাংলাদেশেঢাকা বিভাগভালোবাসা দিবসে জবি ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মারামারি, আহত কয়েকজন

ভালোবাসা দিবসে জবি ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মারামারি, আহত কয়েকজন

জবি প্রতিনিধি:

পহেলা ফাল্গুন বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে মারামারিতে জড়িয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ। এতে ছাত্রলীগের একাধিক কর্মী আহত হয়েছেন।

বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সরস্বতী পূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবার পর ক্যাম্পাস সংলগ্ন বাহদুর শাহ্ পার্কের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

পূর্বের ঘটনা কে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষ ঘটেছে বলে জানা যায়। সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয় নৃবিজ্ঞান বিভাগের ১৫ ব্যাচের নিলয় নামের এক শিক্ষার্থী মাথায় আঘাত পাওয়ায় তাকে ঢাক ন্যাশনাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়ছে এবং একই বিভাগের ১৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী বাতেন বিল্লাহ দাঁত ভেঙে যায়। সে এখন মিরপুর ডেন্টাল হসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। এছাড়াও একই বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী তাফসির এবং মাস্টার্সের শিক্ষার্থী গাজী মোঃ শামসুল হুদা আহত হয়েছে।

এই হামলার ঘটনায় যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে তারা হলেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ১৭ ব্যাচের নিরব, ১৫ ব্যাচেলর রাকিব তালুকদার, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ১৪ ব্যাচের সোহান, অর্থনীতি ১৫ ব্যাচের মুকিত, হিসাববিজ্ঞান ১৫ ব্যাচের আরাফাত এবং ১৬ ব্যাচের সাজিদ, ১৭ ব্যাচের অপু সাহা, জার্নালিজম ১৫ ব্যাচের আবিরুজ্জামান,পরিসংখ্যান ১৫ ব্যাচের শাহীন আলম সহ আরো ১০ থেকে ১৫ জন ।

জানা যায়, মঙ্গলবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারন সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইন এর অনুসারী রাষ্ট্রবিজ্ঞানের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নিরবের সাথে  বান্ধবীকে উত্যক্ত করার ঘটনায় তর্কাতর্কী হয় নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের। তারই জের ধরে পূজা শেষে ক্যাম্পাস থেকে বের হবার সময় নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায় নিরব ও তার বন্ধুরা।

পরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহীম ফরাজির অনুসারীরা ক্যাম্পাসের প্রধান গেইটের সামনে জড়ো হতে থাকলে সেখানেও তাদের উপর আবার হামলা করে জবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা। এরপর সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং শিক্ষকদের সহায়তায় পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী তাফসিরের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, গতাকাল আমার এক বান্ধবীকে উত্যক্ত  করা হলে আমি তার প্রতিবাদ করি, তার প্রেক্ষিতেই আজকের এই ঘটনা।

আহত আরেক শিক্ষার্থী গাজী মো: শামসুল হুদা বলেন, নিলয় কে মারার পর আমরা গেটের সামনে গেলে আমাদের উপরও অতর্কিত হামলা করা হয়।

এই ঘটনায় অভিযুক্ত আবিরুজ্জমান বলেন, বাহাদুর শাহ্ পার্কে মারামারিতে আমি ছিলাম না। আমি কাগজিটোলা ছিলাম। পরে নিলয়( নৃবিজ্ঞান ১৫) ওর মাথা ফেটেছে শুনে ন্যাশনালে যাই। গিয়ে দেখি ব্যান্ডেজ করা মাথা।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল এর কাছে পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, ভিক্টোরিয়া পার্কে মারামারি হয়, তার রেশ ক্যাম্পাসে কিছুটা ছিল। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ পাই নি, পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আমরা ব্যাবস্থা নিব।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহীম ফরাজি বলেন, আমরা সিসিটিভি দেখে সনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিব। সাধারন সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইন বলেন, ক্যাম্পাসের ভিতরে কোনো ঘটনাই ঘটেনি, যা হয়েছে ক্যাম্পাসের বাইরে হয়েছে।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments