
রাশেদ নিজাম শাহ,কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)প্রতি
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ভিসা প্রতারকদের শিকার হয়ে অসংখ্য প্রবাসী কোটি টাকা খুইয়ে নিঃস্ব হলেও কাউকেও খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ । গত ৩ বছরের মধ্যে পুলিশ মাত্র একটি ভিসা প্রতারণার মামলা রেকর্ড করেছে।
উন্নত দেশে ভিসা প্রত্যাশী অসংখ্য বেকার যুবক ও প্রবাসীরা কিশোরগঞ্জ উপজেলার উঠতি বয়সের তরুণদের খপ্পড়ে পরে সর্বস্ব খুঁইয়ে নিঃস্ব হওয়ার ঘটনা সবাই জানে। আইনি ও প্রয়োজনীয় উদ্যোগের অভাবে ভিসা প্রতারকরা ধরা পরছে না। পুলিশের দাবী, তারা সন্দেহ করে অনেক ভিসা প্রতারককে আটক করে ১৫১ ধারায় আদালতে পাঠিয়ে দেয়। কারণ হিসাবে তারা জানান, আটককৃতদের কাছে সঠিক প্রমান না পাওয়ায় প্রতারকদের আইনের আওতায় আনা যাচ্ছে না। এ কারণে অনেকেই ছাড় পাচ্ছে । কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আশরাফুল ইসলাম জানিয়েছেন, প্রতারকরা ভীষণ চৌকস। কোন আলামতই তাদের কাছে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে প্রতারণার ঘটনায় আমরা ২০২৪ সালে ১টি মামলা রেকর্ড করেছি।এদিকে নোয়াখালি জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার রামপুর এলাকার আবুল খায়েরের ছেলে নুর হোসেনকে(৩৮) কানাডার ভিসা পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলি ইউনিয়নের উত্তর দুড়াকুটি গ্রামের আমজাদ হোসেনের পুত্র ফুল বাবু(২৮) ও তার দলবল। কয়েকজনের মাধ্যমে বিকাশের মাধ্যমে ভিন্ন তারিখে ১২ লাখ ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। ঘটনা আঁচ করে নুর হোসেন গত সপ্তাহে কিশোরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দিলে প্রতারক চক্রের নিকট আত্বীয় ইউপি সদস্য স্বপন রানা তাকে টাকা ফেরৎ দেওয়ার কথা বলে ফুসঁলিয়ে কয়েকদিন আটক করে রাখে। এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ থানার ওসি(তদন্ত) আব্দুল কুদ্দুছ জানান, নুর হোসেন থানায় এসেছিল। বিবাদীর বাড়ী যেয়ে কাউকেও খুঁজে পায়নি। লিখিত অভিযোগ হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব। ইউনিয়ন সদস্য স্বপন রানা জানান, বিবাদীর বাবা আমজাদ হোসেন ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা নেওয়ার কথা তার কাছে স্বীকার করেন বলে জানান। শীঘ্রই ঘটনাটির মিমাংশা করা হবে। প্রতারক চক্ররা সকলেই উঠতি বয়সি। কিছুদিন আগেও তাদের সংসারে ছিল টানাপোড়েন । অনেকের বাবা দিনমজুর। এখন বিলাস বহুল বাড়ী ও নামী-দামী গাড়ী সকলের নজর কাড়ে। প্রতারকদের মোটরবাইকের বেপরোয়া গতিতে চলাফেরায় পথচারীরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।