
মোঃ রাফসান জানি ,জেলা বিশেষ প্রতিনিধি(ভোলা):
ভোলা সদর হাসপাতালটি ১০০ শয্যা থেকে ২৫০ শয্যা করা হয় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে২০১৩ সালে ১৯ জানুয়ারি শুভ উদ্বোধন করেন।তখনকার মন্ত্রী জাহিদ মালেক (এমপি) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
৯ মে ২০১৩ সালে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন সাবেক ডাঃ আ.ফ.ম.রুহুল হক (এমপি) মাননীয় মন্ত্রী স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও তোফায়েল আহমেদ( এমপি) সাবেক সভাপতি শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি, সাবেক শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী।
নতুন ভবনের কাজ শেষ হওয়ার পর জনবল সংকট থাকায় ২৫০ শয্যার কার্যক্রম বন্ধ থাকে।পুরাতন ভবনে রোগীদেরকে সেবা প্রদান করা হতো, করোনা চলাকালীন সময় নতুন এ ভবনে একটি ফ্লোরে করোনার চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হতো।ধীরে ধীরে জেনারেল রোগী বেড়ে যাওয়ায় ১০০ শয্যার পুরাতন ভবনের সেবা দিতে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছিলেন ডাক্তার ও নার্সরা। ২০২৩ সালে নতুন ভবনটি আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করা হয়। পুরাতন ভবন থেকে নতুন ভবনের শিশু বিভাগ ও মেডিসিন বিভাগ নিয়ে আসা হয়,কিন্তু বিষয় হচ্ছে ছারপোকার অত্যাচারে অতিষ্ঠ রোগী ও রুগীর স্বজনরা। রোগীর সমস্ত শরীরে নাকে মুখে ঢুকে যাচ্ছে তেলাপোকা, আড়াল থেকে কামড়াচ্ছে ছারপোকা,খাবারের ভিতরে পর্যন্ত ঢুকে পড়ছে তেলাপোকা খাবার খেতে অসুবিধা হচ্ছে রোগীদের তাই খাবার খেতে পারছেন না রুগীও স্বজনরা।
রোগী ও সজনরা জানান, আমরা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে আসি সুস্থ হওয়ার জন্য সুস্থ হওয়াতো দূরের কথা আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছি দিন দিন। যেমন তেলাপোকা তেমন ছারপোকা তেমন নোংরা পরিবেশ। বিছানায় নিচে থেকে বেরিয়ে এসে তেলাপোকা সমস্ত শরীরে নাকে মুখে এসে দৌড়াদৌড়ি করে খাবারের ভিতরে পড়ে বিছানার আড়াল থেকে ছারপোকা কামড়াতে থাকে এতে জনজীবন পুরো অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে আমাদের, তাই এর সুস্থ সমাধান চাই আমরা।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার সৈয়দ শাফী বলেন, আমরা তেলাপোকাও ছারপোকার জন্য কয়েকবার কীটনাশক দিয়েছি কিছুদিন ভালো থাকে আবার পুনরায় শুরু হয় তাদের ছড়াছড়ি, এই নিয়ে আমরাও চিন্তিত যে এগুলো নিয়ন্ত্রণ করা যায় কিভাবে, আমরা চাচ্ছি কয়েকটি বিভাগ আপাতত বন্ধ করে রেখে দেখতে চাই এর কোন সমাধান হয় কিনা।