মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি :
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় জমি সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জের ধরে শ্রমিক উজ্জল অধিকারী (২০) হত্যা মামলার প্রধান আসামী উত্তম অধিকারী(৩৫) কে বরিশাল র্যাব-৮ পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া থানার পাখিমারা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে সোমবার সকালে মঠবাড়িয়া থানায় হস্তান্তর করেছে। উত্তম বেতমোড় রাজপাড়া ইউপির অনীল অধিকারীর ছেলে। নিহত সরিষার তেল মিলের শ্রমিক উজ্জল বেপারী একই গ্রামের সুধীর অধিকারির ছেলে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এর আগে ননী গোপাল অধিকারি ও তার ছেলে নিরব অধিকারিকে পুলিশ আটক করেছে।
সিপিএসসি কোম্পানী বিশেষ গোয়েন্দা নজরদারি ও আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে গ্রেফতার করেছে।
থানা ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বেতমোর রাজপাড়া গ্রামের কৃষক সুধীর অধিকারির সাথে প্রতিবেশী ননী গোপাল অধিকারির সাথে জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। এর জের ধরে বৃহস্পতিবার সকালে প্রতিপক্ষ ননী গোপাল ও তার দলবল সুধীর অধিকারিকে মারধর করে। এ ঘটনার পর দুপুরের দিকে তার দুই ছেলে উজ্জল ও সজল মিলে কাজ শেষে বাড়ি ফিরে বাবার ওপর হামলার খবর জেনে প্রতিবাদ জানায়। এসময় ননী গোপাল ও দলবল দ্বিতীয় দফায় লাঠিসোঠা নিয়ে হামলা চালালে উজ্জ্বল ও তার ভাই সজল আহত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় দুই ভাইকে প্রথমে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে ও পর উজ্জলের অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসনপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধিন অবস্থায় শুক্রবার দিনগত রাতে তার মৃত্যু ঘটে । এঘটনায় তার ছোট ভাই সজল অধিকারী বাদী হয়ে ৯জন নামীয় ও অজ্ঞাত ৪ থেকে ৫ জনের বিরেুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর পরই ওই দিন থানা পুলিশ ননী গোপাল অধিকারি ও তার ছেলে নিরব অধিকারিকে আটক করে। পরে মামলার র্যাব-৮ ঘন্টার মধ্যে প্রধান আসামী উত্তম অধিকারী গ্রেফতার করেন।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনহচার্জ মো. শফিকুল ইসলাম ঘটনা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামীসহ তিনজনকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। নিহত উজ্জলের লাশের ময়না তদন্ত ঢাকা মেডিকেলে সম্পন্ন হয়েছে।