মনোহরদী(নরসিংদী)নিজস্ব প্রতিনিধি
গোতাশিয়া ইউনিয়ন সর্বদা ই একটি শান্তি প্রিয় ইউনিয়ন।কিন্তুু সেই আশির দশক থেকে ইউনিয়নটির চুলা গ্রামের মিয়া বাড়ির অপকর্মের জন্য পুরো ইউনিয়ন টি বিগত সময় থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত বার বার হয়েছে আলোচিত,সমালোচিত এবং কলুষিত।বিগত সময় থেকে আজ অব্দি এ বাড়িটি সর্বহারা পার্টির ঘাটি,মাদক,সন্ত্রাস,ভূমি রেকর্ড জালিয়াতি,অবৈধ ভুমি দখল,মদ,জুয়া সহ সকল প্রকার ত্রাস এবং অপকর্মের আখড়া হিসেবে পরিচিত।
মিয়া বাড়ির কাজী আজিজুল হক ওরুফে কাজল মেম্বার এবং কাজী সারোয়ার হোসের ওরুফে গাঞ্জা ছরু ছিল নিষিদ্ধ ঘোষিত পূর্ব-বাংলা সর্বহারা পার্টির কমান্ডার এবং সক্রিয় সদস্য।তাদের নেতৃত্বে তৎকালীন সময়ে বহু মানুষ সব হারিয়ে হয়েছে সর্বশান্ত।বহু মানুষ হয়েছে বাস্তুহারা।তারা নিজেরা সর্বহারা পার্টির সক্রিয় সদস্য হওয়া সত্বেও সাধারণ মানুষকে সর্বহারা পার্টির সদস্যের তালিকায় নাম দেওয়ার ভয় দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ সহ জোড় পূর্বক জমি দখল করে রাতে অন্ধকারে এলাকা ছারা করতে বাধ্য করা সহ নানান অপকর্মের প্রমান পাওয়া যায়।বর্তমানে ও তারা অবৈধ্য ভূমি দখল,মাদক এবং জুয়ার আসর পরিচালনা সহ নানান সমাজ এবং দেশ বিরোধী অপকর্মের সাথে জড়িত।
তাদের কনিষ্ঠ ভাই কাজী সাখাওয়াত হোসেন মহব্বত ওরুফে বাবা মহব্বত তার একান্ত সহযোগী ইমন আলম কে সাথে নিয়ে বর্তমানে এলাকায় বিভিন্ন প্রকারের মাদক এবং ইয়াবার আসর বসানো,দেহ ব্যবসা,দালালি সহ কিশোর গ্যাং এর মাধ্যমে চুরি,ছিনতাই,চাঁদাবাজি,অবৈধ ভূমি দখল,ইভটিজিং সহ নানান অপকর্ম পরিচালনা করে আসছে।
তাদের আর এক ভাই কাজী দেলোয়ার হোসেন ওরুফে দেলু ডাহাইত বিগত সময়ে বিভিন্ন রকম চুরি,ডাকাতি,রাহাজানি এবং হত্যাকান্ড সহ নানান অপকর্মের সাথে জড়িত থেকে বাংলাদেশের সংবিধান এর ৩০২ ধারায় দন্ডিত এবং ফেরারি আসামি হিসেবে বর্তমানে সৌদি-আরবে পলাতক। আর বর্তমানে তার অর্থায়নে এবং পৃষ্ঠপোষকতায় তার আপন ভাই কাজী আজিজুল হক ওরুফে কাজল মেম্বার,কাজী সারোয়ার হোসেন ওরুফে গাঞ্জা ছরু,কাজী সাখাওয়াত হোসেন মহব্বত ওরুফে বাবা মহব্বত,বাবা মহব্বত এর একান্ত সহযোগী ইমন আলম,খলিল ভূইয়া ওরুফে খইল্ল্যা চোরা(দেলু ডাহাইত এর একান্ত সহযোগী) এবং ইমন আলমের পরিচালিত কিশোর-গ্যাং এর মাধ্যমে এলাকায় অবৈধ ভাবে মানুষের জমি দখল,বিদেশে অর্থপাচার,হুন্ডি,দালালী,মাদক,সন্ত্রাস,চুরি,ডাকাতি সহ নানান অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।
তারই জেড় ধরে মোঃ সজিব ভূইয়া গং দের সাথে চলমান জমির বিরোধ কে কেন্দ্র করে বিগত ০১/০৩/২৪ ইং তারিখে রোজ শুক্রবার সকাল আনুমানিক ১০:২০ মিনিটে কাজল মেম্বার,গাঞ্জা ছরু,
বাবা মহব্বত,ইমন আলম এবং খইল্লা চোরার উপস্থিতিতে ইমন আলমের পরিচালিত কিশোর-গ্যাং এর সক্রিয় সদস্য রিদয়(১৭),রাফি(১৭),আব্দুল্লাহ(১৮),শাওন(১৭),জাহিদ(১৭),
পারভেজ(১৭),টুটুল(১৮), রাতুল(১৮),রাজিব-শেখ(১৮),আরাফাত(১৮),সাখাওয়াত(১৭)রাতুল(১৭),
পাভেল(১৭)রিয়াজ(১৮) সহ প্রায় ২৫-৩০ জন চাইনিজ কুড়াল,রামদা,চা-পাতি,দা,ছুরি সহ অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জীত হয়ে মোঃ সজীব ভূইয়া গং এর
গোতাশিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন মোঃ সজিব ভূইয়া গং দের দেয়া বাসের বেড়া কেটে ফেলে এবং মোঃ সজিব ভূইয়া গং এর লাগানো ৩০-৩৫ টি ফলজ,বনজ এবং কাঠের চাড়া কেটে ফেলে এবং তাদের রোপিত ধানের জমির একাংশ নষ্ট করে ফেলে এবং পুকুর পাড়ে বসার জন্য তৈরী করা বাসের মাচা উপড়ে ফেলে এবং ধানের জমিতে সেচের কাজে ব্যবহার করা সেচ পাম্প টি তুলে নিয়ে যায়।এসব কর্মকান্ড করে চলে যাওয়ায় সময় তাদের হাতে থাকা অস্ত্রগুলো উঁচিয়ে প্রদর্শন করে যায় এবং নানান ধরনের হুমকি ধমকি দিয়ে যায়।যা দেখে এলাকার মানুষ ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে যায়।
[caption id="attachment_11786" align="alignnone" width="227"] কিশোর-গ্যাং চালানো অপকর্ম[/caption]
উক্ত ঘঠনার প্রেক্ষিতে মোঃ সজিব ভূইয়ার পক্ষ থানায় অভিযোগ করলে পরবর্তীতে মিয়া বাড়ির এবং ইমন আলমের প্রভাবে এই অভিযোগ এর কোন অগ্রগতি হয় নি।
মিয়া বাড়ির কাজল মেম্বার,গাঞ্জা ছরু,দেলু ডাহাইত,বাবা মহব্বত,তাদের সহকারি ইমন আলম,খইল্লা চোরা এবং ইমন আলমের পরিচালিত কিশোর-গ্যাং এর বিগত এবং বর্তমান সময়ের কার্য-কলাপে সমাজের মানুষ ভীত-সন্ত্রস্ত এবং উৎকন্ঠায়র মধ্যে আছে।যার কারণে সামাজিক ভাবে ও উক্ত ঘঠনার কোন সমাধান হয় নি।
এসব ঘঠনার কারণে এলাকায় বর্তমানে চরম উত্তেজনা বিরাজমান।