
নাসির উদ্দিন ,মাদারীপুর সদর উপজেলা প্রতিনিধি। মাদারীপুরের খোয়াজপুর চরগোবিন্দপুরে স্বীকৃতির দাবিতে স্বামীর বাড়িতে স্ত্রীর অনশন- মিথ্যে বিয়ে সাজিয়ে শিক্ষার্থীর সাথে প্রতারনা: বাড়ীতে ধর্ণা।
প্রথমে ফেক্সিলোডের দোকান থেকে মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ। পরে ইমোতে চ্যাটিং ও প্রেম নিবেদন। একপর্যায়ে মিথ্যে বিয়ের নাটক সাজিয়ে হোটেলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ। পরে অস্বীকার জানিয়ে টালবাহানা। মাদারীপুরে এক শিক্ষার্থীর সাথে এমন ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও স্বজনরা। বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে প্রেমিকা। স্ত্রীর স্বীকৃতি না পেলে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছে শিক্ষার্থী। অবশ্য, নির্যাতিতার ন্যায় বিচারের স্বার্থে সবধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।
বুধবার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, দুইমাসের কথিত প্রেম। বিয়ের নাটক সাজিয়ে ধর্ষণ। পরে অস্বকীর করলে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে প্রেমিকার অনশন। প্রেমিক মেনে না নিলে ২০ বছর বয়সী নার্সিং পড়ুয়া শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার হুমকি। তাই সেই প্রেমিকার বাড়ীতে অনশন করছে নির্যাতিতা মেয়েটি।
নির্যাতিতা ওই নারীর অভিযোগ, দুই মাস আগে ফেক্সিলোডের দোকান থেকে ওই শিক্ষার্থীর মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করেন মাদারীপুর সদর উপজেলার চর গোবিন্দপুরের প্রেজা মিয়া শিকদারের ছেলে মেহেদী হাসান। পরে মোবাইলে কল দিয়ে শিক্ষার্থীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে সে। এরপর ইমোতে অডিও এবং ভিডিও কলে কথা বলে দুজনে। গত ৯ জানুয়ারি শিক্ষার্থীকে কল করে শহরে ডেকে আনে মেহেদি। পরে মিথ্যে বিয়ের নাটক সাজিয়ে একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে রাতভর ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে মেহিদীর বিরুদ্ধে। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে গিলেও মেয়েটির সাথে সময় কাটায় অভিযুক্ত। পরে নির্যাতিতা বুঝতে পারে প্রতারনার কথা। এরপর বিষয়টি মেহিদীর পরিবার ও এলাকার মুরব্বীদের জানালেও কোন প্রতিকার না পায়নি স্বজনরা ফলে বাধ্য হয়ে বুধবার সকালে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে প্রেমিকার বাড়িতে অনশনে প্রেমিকা।
প্রেমিকার অনশনের খবরে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে মেহিদী। তবে, ঘটনার এখনো কোন সত্যতা পায়নি বলে দাবি করেন অভিযুক্তের চাচাতো ভাই খোকন শিকদার। তিনি বলেন, ‘আমার চাচাতো ভাই ঘটনার পর থেকে বাড়ীতে নেই। যদি এ মেয়েকে সে বিয়ে করে থাকে তাহলে অবশ্যই তাকে স্ত্রীর মর্যাদা নিয়ে ঘরে তুলতে হবে। আর যদি বিয়ে না করে থাকে তাহলে কেন আমাদের বাড়ীর মান মর্যাদা হানি করলো, তারও কঠোর বিচার করা হবে।’
এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের কথা জানিয়েছে পুলিশ সুপার মো মাসুদ আলম। তিনি বলেন, ‘যদি ওই নারীর সম্মতে হোক বা অসম্মতেই হোক কৌশলে শ্লীলতাহানি করে থাকে তাহেল ওই ছেলেকে আইনের আওতায় আনা হবে। যদি সে বিয়ে করে তাহলে স্ত্রীর মর্যাদা দিতে হবে। আমি পুলিশ পাঠাবো, যদি অন্যায় করা হয়, তাহলে সাথে সাথে দোষীকে আটক করা হবে।’
অভিযুক্ত মেহেদী পেশায় একটি মোবাইল ব্যাংকিং-এর আরএসও। এই সুযোগে জেলার বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত ছিল তার।