
আউয়াল হোসেন ।। মাদারীপুর সদর(মাদারীপুর)শিক্ষানবিশ:
শিবচরের আড়িয়াল খাঁ নদীর উৎরাইল হাট সংলগ্ন, দত্তপাড়া, নিলখী, শিরুয়াইল এলাকায় বালু উত্তোলন করেন রোমান ফরাজি, মস্তফা মোল্লা, শফিক বেপারী, সুমন খান, আজাদ, লোকমান খানসহ একটি প্রভাবশালী মহল। পদ্মা নদীর কাঁঠালবাড়ী এলাকায় বালু উত্তোলনের সিন্ডিকেট পরিচালনা করেন শিবচর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আতাহার বেপারী, কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা সোহেল বেপারী, শ্রমিকলীগ নেতা ডাবলু বেপারী, ফারুক বেপারী, জুলহাস বেপারী, বজলু বেপারী, মান্নান বেপারী ও বাবু বেপারী। পদ্মা নদীর চরজানাজাত এলাকায় বালুর সিন্ডিকেট চালায় চরজানাজাত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রায়হান সরকার, শাহিন সরকার, শামিম সরকার, ওয়াসিম সরকার, সোহাগ সরকার, কুডি মিয়া সরকার, মামুন হাওলাদার ও মেম্বার নাসির সরকার। এ ছাড়া নাওডুবা এলাকার পদ্মা নদীতে সিন্ডিকেট চালান আলিম ও মোতাহার ঢালি।এই মহল খুবই চওড়া মূল্যে প্রতি ঘনফুট ১০-১২ টাকা মুল্যে বিক্রি করে থাকে ।প্রতি রাতে কোটি টাকার অবৈধ বালি উত্তোলন করে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।
ড্রেজার দ্বারা উত্তোলনকৃত বালু বাল্কহেডে ভরে নিয়ে যাওয়া হয় বিক্রির উদ্দেশে। প্রতি ঘনফুট বালু পাইকারি বিক্রি করা হয় ৮০-৯০ পয়সা দরে। আর খননের জন্য ড্রেজার মালিক প্রতি ঘনফুটে পান ৬০ পয়সা। খুচরা বাজারে এই বালু বিক্রি হয় প্রতি ঘনফুট ১০-১২ টাকা দরে! এই বালুই যেন সাদা সোনা!