শামসুল আলম শারেক,টেকনাফ ( কক্সবাজার) প্রতিনিধি।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মংডু টাউনশিপের আশপাশে গোলাগুলি এবং মর্টার শেল ও গ্রেনেড বিস্ফোরণের শব্দ কমে গেছে। কক্সবাজারের টেকনাফ ও সেন্ট মার্টিনের বাসিন্দারা গতকাল শুক্রবার ভোররাত থেকে আজ শনিবার বেলা একটা পর্যন্ত সীমান্তের ওপারে এ ধরনের আর কোনো শব্দ শুনতে পাননি। অন্যদিকে নাফ নদীর মোহনায় অবস্থানরত মিয়ানমারের নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজটি শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে দেখা যাচ্ছে না।
সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নুর হোসেন বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার সারা রাত বিকট বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল পুরো টেকনাফ। শান্তিতে লোকজন ঘুমাতে পারেনি। তবে শুক্রবার ভোররাত থেকে শনিবার বেলা একটা পর্যন্ত আর কোনো শব্দ পাওয়া যায়নি। নতুন করে যাতে সীমান্ত পেরিয়ে কোনো লোক বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে, সে জন্য আমরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছি।’
সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা জানান, টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথের শাহ পরীর দ্বীপ বদরমোকাম এলাকায় দুই দিন ধরে অবস্থান করা মিয়ানমারের নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজটি সেখান থেকে সরে গেছে। যুদ্ধজাহাজটি পরে মিয়ানমারের জলসীমানায় অভ্যন্তরে নাইক্ষ্যংদিয়া অংশে অবস্থান করছিল। গতকাল সন্ধ্যার পর সে স্থান থেকেও সরে গেছে বলে নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী।
সেন্ট মার্টিন ইউপির চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, সীমান্তে শুক্রবার ভোররাত থেকে আর গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যায়নি। তবে দ্বীপে বসবাসকারীদের মধ্যে আতঙ্ক কাটেনি। তবে যুদ্ধ জাহাজ ৩ টি নাফনদীর জলসীমানা থেকে সরিয়ে নিয়ে মিয়ানমার জলসীমার কাছাকাছি এখনো অবস্থান করছে বলে জানিয়েছেন।
তিনি আরো জানিয়েছেন গত ১৩ জুন থেকে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন নৌ রুটে নৌ যান চলাচলের কথা থাকলেও মূলত বিজিবি - কোস্টগার্ডের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার মাধ্যমে কক্সবাজার থেকে জাহাজ চলাচল স্বাভাবিক হয়েছ।
এতে করে সৃষ্ট সাময়িক খাদ্যসংকটও মোটামুটি পুরণ হতে চলেছে বলে জানান তিনি।
ধারনা করাহচ্ছে পবিত্র ঈদুল আযহা কে সামনে রেখে পরিস্থিতি মোটামুটি শান্ত হলেও ঈদুল আযহা পরবর্তী কিহয় সেটা তখন বলা যাবে।