মো হোসেন আলী ।।কোটালীপাড়া(গোপালগঞ্জ)প্রতিনিধি
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের জলিরপাড়ে সরকারি রাস্তা অবৈধভাবে দখল করে পাকা স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে মোঃ আবেদ আলী শেখ (৫৫) নামের এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে। কোনরকম সরাসরি অনুমোদন না নিয়েই রাস্তার উপরে বাড়ি নির্মান করার ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়েত করা প্রায় ৫ হাজার মানুষ। বাড়ির পাশের সীমানা প্রচীর থাকায় সামান্য একটু বৃষ্টিতেই রাস্তায় হাঁটু পানি জমে,রাস্তাটা পুরোপুরিভাবে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে।
এই বিষয়ে প্রশাসনের নিকট কয়েকদফা লিখিত অভিযোগ দিলেও এখনো কোন স্থায়ী সুরাহা পায়নি ভুক্তভোগীরা।
আবেদ আলী উপজেলার দক্ষিন জলিরপাড় গ্রামের আলেম শেখের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান , উপজেলার দক্ষিণ জলিরপাড় পূর্বপাড়া থেকে সেনদিয়া পর্যন্ত ৩০০ ফিট লম্বা নির্মিত রাস্তার মুখেই পূর্বপাড়া গ্রামের আবেদ আলী প্রায় তেইশ ফুট জায়গা দখল করে তার ব্যাক্তিগত বাড়ি ও ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান নির্মান করেন। এই সময়ে স্থানীয়রা তাকে বাঁধা দিতে গেলে প্রভাবশালী আবেদ আলী কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই ভবনটি নির্মান করেন। এরপর থেকে সামান্য একটু বৃষ্টি হলেই পানি জমে রাস্তাটি ব্যাবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
স্থানীয় আলী আজগর বলেন, বর্ষা মৌসুম আসলেই আমরা শঙ্কিত হয়ে পড়ি। কোনরকম একটু বৃষ্টি হলেই হাঁটু পানি জমে যায়৷ এই রাস্তা দিয়ে জলিরপাড় উচ্চ বিদ্যালয়, দুইটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,একটি মাদ্রাসাসহ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা যাতায়েত করে। এছাড়াও এই এলাকায় একটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে। রাস্তার জলাবদ্ধতার কারনে জরুরি সেবা নিতেও যেতে পারেনা সাধারণ মানুষ। আমরা এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে কয়েকবার মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে অভিযোগ দিলেও অদৃশ্য কারনে কোন ব্যাবস্থা নেয়া হয়নি। এই এলাকায় বসবাসরত কয়েক হাজার মানুষ দ্রুত উপরোক্ত সমস্যার স্থায়ী সমাধান চাই।
কলেজছাত্র প্রগতি মন্ডল জানায়, এই রাস্তায় বৃষ্টি নামার সাথে সাথে হাঁটু পানি জমে যায়। এই সমস্যার কারনে সঠিক সময়মতো আমরা ছাত্র,ছাত্রীরা ক্লাসে পৌঁছাতে পারিনা, দ্রুতই এই সমস্যার সমাধান করা হোক।
সরকারি জায়গা দখলের কথা জানতে চাইলে মোঃআবেদ আলী অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, আমার বাড়ির কিছু অংশ সরকারি রাস্তার মধ্যে পড়তে পারে। তবে সরকার চাইলে আমি জায়গা ছেড়ে দিবো।
এই বিষয়ে মুকসুদপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি), মোঃ আসাদুজ্জামান নূর বলেন, সরকারি রাস্তা দখলের বিষয়টি আমার জানা নেই। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।