বাড়িবাংলাদেশেঢাকা বিভাগমৌমাছির চাষ করে স্বাবলম্বী ঠান্ডু মিয়া

মৌমাছির চাষ করে স্বাবলম্বী ঠান্ডু মিয়া

অরবিন্দ রায়, স্টাফ রিপোর্টারঃ

মৌমাছির চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন ঠান্ডু মিয়া। মির্জাপুরের  রামপুর,গাজেশ্বরী  এলাকায়  মৌমাছি পালন করে সরিষা ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করছেন। ঠান্ডু মিয়া বিশ বছর ধরে মৌমাছি পালন করে মধু সংগ্রহ করে যাচ্ছেন । সরিষা চাষের সময় মির্জাপুর এলাকায়, কালীজিরা চাষের সময় শরীয়তপুর এলাকায়, লিচুর সময় রাজশাহী, নাটোর ও গাজীপুরের একাংশ মৌমাছি নিয়ে মধু সংগ্রহের জন্য তিনি চলে যায়। ঠান্ডু মিয়ার বর্তমানে ১২০ টি বক্স আছে। ঠান্ডু মিয়ার সাথে ৫/৬ জন লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্হা করেছে। ঠান্ডু মিয়া জানান, এক স্হান থেকে অন্য স্হানে বক্সে করে মৌমাছি নিয়ে  যাবার সময় পুলিশের হয়রানি স্বীকার হতে হয়।
দেশে মৌমাছি চাষ বৃদ্ধির  ফলে অধিক মধু উৎপাদনের  মধ্য দিয়ে দেশে খাঁটি মধুর চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে । নিয়মিত বিশুদ্ধ মধু সেবনের মাধ্যমে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।  মৌমাছি চাষের কারনে মানুষের পুষ্টির চাহিদা পূরনের  পাশাপাশি  কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হযেছে। আধুনিক  প্রযুক্তি ব্যবহার করে মৌমাছি চাষ করে হাজার হাজার  মানুষের কর্মসংস্থানে ব্যবস্থা হয়েছে।  এক সময় মৌমাছি বনে, জঙ্গলে, গাছের ডাল,  গাছের কোঠরে, মাটির দেওয়াল   সহ বিভিন্ন জায়গায় মৌচাক তৈরি করত । বর্তমানে জ্ঞান-বিজ্ঞানে ফলে মৌমাছি চাষ সহজসাধ্য হয়েছে। কাঠের বাক্সে এখন মৌমাছি  পালন করা  হচ্ছে।
ড. চিওরঞ্জন রায়  জানান, মৌমাছি চাষীদের আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, প্রশিক্ষনের ব্যবস্হা করা, মৌমাছির উন্নত জাত সরবরাহ করা,  ঋণের ব্যবস্হা করা, মধুর বাজারজাত করনের ব্যবস্হা করে বেকার সমস্যার সমাধান ও কর্মসংস্থানে সৃষ্টি হবে। মৌমাছি চাষ করে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক  সম্ভাবনার ক্ষেএ তৈরি হতে পারে।

এ রির্পোট তৈরীতে সহযোগিতা করেছেন সাংবাদিক উৎপল রক্ষিত।
অল্প বিনিয়োগে ও ফসল ক্ষেতে  মৌমাছি চাষ করে অনেক মানুষ অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হয়েছে।  অল্প খরচে মধু উৎপাদন করে বেশি দামে মধু  বিক্রি করা যায়। মধু বিভিন্ন ওষুধ তৈরিতেও ব্যবহার করা হয়।   মৌমাছি চাষ করে দেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি সম্ভব।   পরিকল্পিতভাবে মৌমাছির চাষ  করে অনেকে মানুষ লাভবান  হচ্ছে। এতে অর্থনীতির গুরুত্ব বৃদ্ধি পাশাপাশি  বেকার সমস্যা সমাধান ও  কর্মসংস্হান সৃষ্টির সুযোগ হয়েছে। মৌমাছির চাষ নতুন অর্থনৈতিক  খাত হিসেবে গণ্য হচ্ছে।  বাংলাদেশের অর্থনীতিতে একটি সম্ভাবনার  ক্ষেত্র হিসেবে মৌমাছি চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের  অনেক বেকার যুবক মৌমাছি  চাষ করে নিজের কর্মসংস্থানের  সৃষ্টি করছে।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments