
স্বপন সরকার, কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ
আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গাজীপুর সহ আশপাশের এলাকায় সকল কারখানা, অফিস-আদালত ছুটি ঘোষণা শুরু হয়েছে। আর একই সময়ে সকল কারখানা ও অফিস ছুটি হওয়ায় মহাসড়কে হুট করে যাত্রীর চাপ বেড়েছে তিন গুণ। তবে যাত্রীর চাপ বাড়লেও পরিবহনের ঘাটতি নেই মহাসড়কে। কিন্তু ভাড়া নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করছেন অধিকাংশ যাত্রী, পড়ছেন বিরম্বনায়।
উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অবস্থিত চন্দ্রা ত্রিমোড়। যেখান দিয়ে ২২ টি জেলার মানুষ ও পরিবহন যাতায়াত করে থাকে সেই এলাকায় পরিদর্শন করে দেখা যায়, বেলা বাড়ার সাথে সাথে মানুষের উপচে পড়া ভিড়। পাশাপাশি পরিবহনের যোগানও বেড়েছে অধিক। তবে ভাড়ার ব্যাপারে যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। কেউ বলছে সুযোগ পেয়ে ভাড়া দ্বিগুণ নিচ্ছে আবার কেউ বলছে তিন থেকে চার গুণ হয়েছে। এতে কেউ কেউ ভাড়া বাঁচাতে পণ্যবাহী গাড়ি, ট্রাক ও পিকআপে করেও বাড়ি ফিরছেন। লোকাল পরিবহনের জন্য তীব্র জটলা তৈরি হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন অনেকেই।
আরো জানা যায়, চন্দ্রার আশেপাশে বেশ কিছু এলাকা জুড়ে জটলা তৈরি হলেও মহাসড়কে নেই কোন যানজট, নেই ভোগান্তি। এবার ঈদ যাত্রায় স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছে ঘর মুখোরা। তবে আশেপাশে কাছের এলাকার পরিবহন পেতে সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পাশের জেলার যাত্রীরা।
ইয়াসিন নামের এক যাত্রী বলেন, টাঙ্গাইলে যাওয়ার জন্য তেমন কোন পরিবহন পাচ্ছিনা। অনেকক্ষণ যাবৎ গাড়ির জন্য দাঁড়িয়ে আছি। দু-একটা যাও পাচ্ছি দ্রুত পরিপূর্ণ হয়ে যায় ভাড়াও ৩ গুণ চাচ্ছে। চন্দ্রা থেকে টাঙ্গাইলের ভাড়া ৫০ টাকা অথচ আজকে ১৫০-২০০ টাকা করে চাচ্ছে।
আনিছুর নামের এক যাত্রী বলেন, আমি যে ভাড়ায় বগুড়ায় রেগুলার যাই আজকে তার থেকে তিনগুণ ভাড়া বেশি চাচ্ছে। এরকম হলে পরিবারের ৪ সদস্য নিয়ে যাতায়াত করেই তো আমাদের সকল টাকা শেষ হয়ে যাবে। ঈদ করবো কিভাবে?
উত্তরবঙ্গের কাউন্টারে দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন জানান, লোকাল পরিবহনের জন্য এই চন্দ্রায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। ভাড়া দ্বিগুণ বা তিন গুণ হওয়ার পেছনে এদের হাত রয়েছে। ব্র্যান্ডের পরিবহন কখনো ভাড়া বাড়ায় না।
নাওজোড় হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন বলেন, ঈদ যাত্রায় আমরা ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছি। যানজট নিরসন, ও যাত্রী নিরাপত্তার ব্যাপারে সর্বোচ্চ পদক্ষেপ রয়েছে
গাজীপুর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রাজিউর রহমান বলেন, মহাসড়কে নিরাপত্তার পাশাপাশি ভাড়া নৈরাজ্যের বিষয়ে নজরদারি বৃদ্ধির জন্য সবরকম পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, সড়ক নিরাপদ রাখতে আমাদের অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। বিশেষ করে যানজটপূর্ণ স্থানগুলোতে আমরা ড্রোন, সিসি ক্যামেরা দ্বারা পর্যবেক্ষণ করছে। যাত্রীদের নিরাপত্তায় আমরা প্রস্তুত আছি।