বাড়িবাংলাদেশেঢাকা বিভাগরঘুনাথপুর বৈশাখী মেলা উদযাপন।

রঘুনাথপুর বৈশাখী মেলা উদযাপন।

অরবিন্দ রায়, স্টাফ রিপোর্টারঃ

রঘুনাথপুরে একাওরের মহান স্বাধীনতার পর থেকে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বৈশাখী মেলা উদযাপন করা হয়।

মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা, অগ্নি স্নানে শূচি হোক ধরা – এ বিশ্বাস কে বুকে লালন করে আজো বাঙালিরা পালন করছেন। বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব পহেলা বৈশাখ।

চৈত্র মাসের শেষ দিন গোলয়া, বোয়ালীসহ বিভিন্ন গ্রামে পালন করা হয় চৈত্র সংক্রান্তি উৎসব।

সম্রাট আকবরের হাত ধরেই বাংলা নববর্ষের যাএা শুরু। ১৫৮৪ সাল থেকে সম্রাট আকবর বাংলা নববর্ষের প্রবর্তন শুরু করেন। বাঙালির মনে এক নতুন আমেজ, নতুন শক্তি, গ্রাম বাংলার মানুষ সহ সমস্ত বাঙালির নতুন স্বপ্ন নিয়ে আগামী দিনের পথচলা।

পহেলা বৈশাখে জাঁকজমক পূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বৈশাখী মেলা, সঙ্গীতানুষ্ঠান, মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলা নববর্ষে দেশের ধর্ম, বর্ণ, গোএ, ধনী, গরীব সকল শ্রেণি পেশার মানুষের মধ্যে অসাম্প্রদায়িক চেতনা জেগে উঠে।

বাঙালির জীবন থেকে হারিয়ে গেলো আরো একটি বাংলা বছর। পুরাতন বছরের সুখ, দুঃখকে ভুলে গিয়ে আবার নতুন বাংলা বছরকে বরন করে নিল বাঙালিরা। নতুন বাংলা বছর ১৪৩১ সনের পথচলা শুরু হল।

বাঘিয়া গ্রামের ব্যবসায়ী হাজী রমিজ উদ্দিন জানান, বৈশাখী মেলা দীর্ঘদিন ধরে রঘুনাথপুর এলাকার মানুষ পালন করে আসছেন। সকলে মিলে একসাথে মেলায় ঘুরতে ভালো লাগে। চাকরিজীবি অনেক বন্ধুদের সাথে দেখা হয়।

ব্যবসায়ী উৎপল রক্ষিত জানান, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বৈশাখী মেলা আমার প্রাণের উৎসব। সকল ধর্মের মানুষ এক সাথে মিলে মিশে আনন্দ করি। এটা অন্য রকম অনুভূতি।

বীর মুক্তিযোদ্ধা বেলায়েত হোসেন, বাহার উদ্দিন মেম্বার, নজরুল ইসলাম বাবুল, আমজাদ হোসেন সাবেক মেম্বার, বাসির উদ্দিন মেম্বার, মজিবর রহমান, এস এম আক্কেল আলী, বোয়ালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ,সন্তোষ রক্ষিত প্রমুখ।

বৈশাখী মেলা উপলক্ষে রশি টান প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। রশি টান প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করেন মৎস্যজীবি সমিতি বনাম অটোরিকশা সমিতি। পাতিল রক্ষা, পাতিল ভাঙা, কলা গাছ থেকে মোরগ উদ্ধার প্রভৃতি খেলা অনুষ্ঠিত হয়। পরে বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরন করা হয়।

বৈশাখী মেলায় মৃৎশিল্পীদের তৈরী করা করা মাটির পুতুল, ফুলদানি, বিভিন্ন ধরনের ফল, হাড়ি,কড়াই,মাটির ব্যাংক,, বাসন, চায়ের কাপ, থালা, বাটি, হাতি ঘোড়া, বাঘ,টিয়া,ময়ূর, হাঁস,ফুলের টব, ইত্যাদি।

পহেলা বৈশাখ উৎসব কে সার্বজনীন উৎসব হিসেবে পালন করা হয়। সকল ধর্মের, সকল মানুষ পহেলা বৈশাখে অংশ গ্রহণ করে থাকেন। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পহেলা বৈশাখে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

 

 

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments