
মোঃ মহিবুল ইসলাম ,বিশেষ প্রতিনিধি (চুয়াডাঙ্গা সদর)
গতকাল শুক্রবার শহরের নিচেরে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শুরু হচ্ছে রোজার মাস। তাই বাজারে নিত্যপণ্য কেনাকাটায় ক্রেতা সমাগম ছিল চোখে পড়ার মতো। মাছ মাংস ও সবজির চাহিদা বেড়েছে স্বাভাবিকের তুলনায়। রোজার আগেই কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে এক কেজি গরুর মাংসের দাম ৭৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। খাসির মাংস এক লাফে ১০০ টাকা বেড়ে ১ হাজার ১০০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। একইসাথে দেশি মুরগি কেজিতে ১০০ টাকা বেড়ে ৬০০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহের মতোই স্বাভাবিক রয়েছে সোনালি ও লেয়ার মুরগির দাম। বাজারে পর্যাপ্ত মাছের সরবরাহ থাকা সত্বেও ছোট মাছের দাম কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বাড়তি। আর বড় মাছের দাম তুলনামূলক স্বাভাবিক।
এদিকে, বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণের কাঁচা সবজির সরবরাহ থাকা সত্বেও দাম দিনে দিনে বাড়ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে বেগুনের দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ৬০ টাকা, শসার দাম ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া অন্যান্য সব প্রকার সবজির দাম কেজিতে ২০ টাকা বাড়তি। রোজার মাস সামনে রেখে সবজির দাম বাড়ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়িরা। তবে দাম স্বাভাবিক রয়েছে আদা, রসুন, পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচের দাম।
এছাড়া, রোজার বিশেষ পণ্যের মধ্যে স্বাভাবিক রয়েছে বেশন, আটা, চিনি, ছোলা ও খেজুরের দাম।
তবে খেজুরের দাম নিয়ে ক্রেতাদের রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেজিতে ২০০ টাকা বাড়তি সব ধরনের প্যাকেটজাত খেজুরের দাম। বাজারে এখনো সংকট কাটেনি বোতলজাত সয়াবিন তেলের। বাজারে এখনো এক ও দুই লিটার তেল সংকট। তবে ৫ লিটার সয়াবিন তেল কিনতে হলে ক্রেতাদের নিতে হবে বাড়তি পণ্য।
বাজারে আসা এক ক্রেতা আসিফ ইকবাল বলেন, একদিন পর রোজা। তাই রোজার নিত্যপণ্য কিনতে আসলাম। কিন্ত বাজারে আমিষের দাম বেশি। গত সপ্তাহে দেশি মুরগির মাংস কিনেছিলাম ৫০০ টাকা ছিল কেজি। এখন এই মুরগির দাম নিল ৬০০ টাকা কেজি। রমজানের শুরু থেকে বাজারে মাছ মাংস ও সবজির বাড়তে শুরু হয়েছে।
অপর ক্রেতা মুকুল রহমান বলেন, রমজানের শুরুর দিকে বাজারে তো নিত্যপণ্যের দাম আগুন ছড়াচ্ছে। আবার রোজায় ইফতারের বিশেষ পণ্য খেজুর ও শসা সবজির মধ্যে বেগুন- এই সবকটি পণ্যের দাম বেশি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ কনজুমার এসোসিয়েশন অব ক্যাব চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি অ্যাড. মানিক আকবর বলেন, রমজান মাসে বাজারে সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখতে যা যা প্রয়োজন প্রশাসনকে সে উদ্যোগ নিতে হবে। রমজান মাসে কোনো পণ্যে সংকট দেখিয়ে বাজার অস্থিতিশিল না হয় সেজন্য অসাধু ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় নিয়ে কঠোর শাস্তি প্রয়োগ করতে হবে।
তবে বাজারের দাম পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নিয়মিত তদারকি চলছে বলে দাবি প্রশাসনের।