মোহাম্মদ এরশাদ আলী, লংগদু (রাঙামাটি)।
নীতি নৈতিকতা আর ভদ্রতা,বেহায়াপনা থেকে মুক্তির আশায় অভিভাবকরা ছাত্র ছাত্রীদের নিরাপদ মনে করে ভর্তি করেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, শিক্ষকদের বিশ্বাস করে শিক্ষার্থীদের শিক্ষকদের সঙ্গ দিতে বলেন, আর তখনি দেখা যায় কিছু কিছু শিক্ষক নামধারী রক্ষক সেজে হিংস্র প্রানীর মত আচরণ করে থাকেন।
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার দুর্গম লংগদু উপজেলার ৩ নং গুলশাখালী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড (রাজ নগর) রাজারবাগী মাদ্রাসার ৩য় শ্রেণীর নাবালক দুই শিশুকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে ঐ মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক সাবেক পুলিশ সদস্য মোঃ ফারুক আহমদের বিরুদ্ধে। তিনি বাগান থেকে বাঁশ আনবে বলে শিশু দু’জনকে বাঁশ বাগানে নিয়ে যায়। পরে বাগানের গাছে পাতানো টং ঘরে বলাৎকার করে বলে অভিযোগ উঠেছে ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
একই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এর আগেও একই মাদ্রাসার ৩য় শ্রেণীর অন্য একটি ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠলে এলাকার লোকজন তা স্থানীয় ভাবে মীমাংসা করেন বলে জানা যায়।
এবিষয়ে শিক্ষার্থীদের পক্ষে একজনের চাচা জালাল এবং অন্যজনের বাবা শহিদ জানায়, একজন শিক্ষক যদি এমন আচরণ করেন, তাহলে আমাদের সন্তানগুলো কার কাছে নিরাপদে থাকবে। আমাদের সন্তানদের মিথ্যা কথা বলে জঙ্গঁলে নিয়ে এসব করে। আমরা মামলা করেছি। আমরা এর সঠিক বিচার প্রার্থনা করছি।
বিষয়টি নিয়ে কথা হয়, মাদ্রাসা প্রধান মাওলানা মোঃ হাফিজ উদ্দিনের সাথে। তিনি বলেন, গতকাল শুক্রবার আমাদের মাদ্রাসা বন্ধ ছিলো। ফারুক স্যার আমাকে কল দিয়েছিলো, তিনি উপরের বাগান থেকে কিছু বাঁশ আনবেন। সেই সুবাধে মাদ্রাসার ছাত্রদের সাথে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে লোক মুখে শুনি তিনি, সেই ছাত্রদের বলাৎকার করেছেন।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার মোঃ গোলাম মাওলা বলেন, শিশুটির পরিবার আমার নিকট আসলে, আমি উভয় পক্ষকে নিয়ে বসি। দুই পক্ষের কথা শুনে আমি তাদের আইনের আশ্রয় নিতে বলি।
গুলাশাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোৌ শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, ঘটনাটি সম্পর্কে আমার কাছে খবর আসলে, আমি বিষয়টি জানার চেষ্টা করি এবং পরবর্তীতে তাদের কথা শুনে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।
রাজনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ ওলি উল্লাহ বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে আসলে অভিযুক্ত ফারুক আহমদকে জিজ্ঞেসাবাদের জন্য ফাঁড়িতে নিয়ে আসি। পরবর্তীতে থানায় অবহিত করি।
লংগদু থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হারুনুর রশিদ বলেন, পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা অভিযোগ আমলে নিয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত বলা যাবে।