
মোহাইমিনুল ইসলাম ,মতিহার (রাজশাহী) প্রতিনিধি
আজ দুপুর ১.৪৫ মিনিটে রাজশাহীর কাজলা মোড় হতে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সেক্রেটারি শহীদ শরিফুজ্জামান নোমানীর হত্যার প্রতিবাদ এবং খুনিদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। উক্ত বিক্ষোভ মিছিলটি কাজলা মোড় থেকে শুরু হয়ে বিনোদপুর বাজারে এসে শেষ হয়।
উক্ত বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিতি ছিলেন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সংগ্রামী সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ, সেক্রেটারি মুজাহিদ ফয়সাল ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি হাফেজ নুরুজ্জামান ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক সভাপতি হাফেজ নুরুজ্জামান বলেন – জঙ্গি সংগঠক বাংলাদেশ আওয়ামী ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ এই দেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্র পরিণত করার জন্য ভারতে সাথে লিয়াজু করে ২০০৮ সালে ২৯ ডিসেম্বর ক্ষমতায় আসে। আওয়ামী বাংলাদেশকে ভারতের অঙ্গরাজ্য ও হিন্দুস্থান করার জন্য সর্বপ্রথম বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরকে টার্গেট করে। অকার্যকর রাষ্ট্রের জন্য নোমানীর মত মেধাবী শিক্ষার্থীকে হত্যা করে এই দেশকে তাস রাজ্যে পরিণত করার চেষ্টা করে। শুধু শিবিরকেই নয় এদেশের সেনাবাহিনীর বিভিন্ন উচ্চ পর্যায়ের নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। জামায়াতের শীর্ষনেতাদের হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু এ দেশে এখন পর্যন্ত তাদের কোন বিচার করা হয় নাই।
তিনি আরো বলেন এই স্বৈরাচার সরকার সামাজ্যবাদী সরকার, পতন হবার পরও এই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নোমানীর হত্যার বিচারের জন্য কোন পদক্ষেপ গ্রহন করছে না। এর চেয়ে কষ্টের কথা আর হতে পারে না। হাজার হাজার ভাইয়েরা ছাত্ররা রক্ত দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছে । যারা আপনাদের ভিসি বানিয়েছে, প্রোভিসি বানিয়েছে দায়িত্ব দিয়েছে আবার নোমানী ভাইয়ের যদি হত্যকারীরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে চলাচল করে তাহলে আমাদেরকে আর আইন হাতে তুলে নেবার জন্য বাধ্য করবেন না। নোমানীর হত্যার সাথে যে সকল শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত রয়েছে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে এদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি গ্রহন করতে হবে।
আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল তাই বলে আমাদেরকে দূর্বল ভাববেন না। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির যেভাবে স্বৈরাচার সরকার পতন করেছে তেমনি আর বাংলাদেশে কোন স্বৈরাচার সরকার তৈরি হতে দিবে না। তাই দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবার জন্য বলা হলো।