
গোয়ালন্দের দৌলতদিয়ায় যাত্রীবাহী লঞ্চ ও তেলবাহী ট্যাংকারের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে । এ সময় লঞ্চের উপরে থাকা যাত্রীদের মধ্যে ৭-৮ জন নদীতে ছিটকে পড়ে । আতঙ্কে নদীতে ঝাঁপ দেন আরো ৮-১০ জন যাত্রী । শনিবার দুপুর ১২টার দিকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের মাঝ পদ্মায় ঘটনা ঘটে। তবে ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। লঞ্চের প্রায় দেড় শতাধিক যাত্রীর সবাই নিরাপদে উদ্ধার হয়েছে।
ঘাট সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পাটুরিয়া লঞ্চঘাট থেকে শতাধিক যাত্রী নিয়ে ছেড়ে আসা এমভি ফ্লাইংবার্ড-২ দৌলতদিয়া ঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে আসার সময় চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ীগামী ওয়েল ট্যাংকি সাংহাই-৪ এর সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এ সময় লঞ্চের উপরে থাকা যাত্রীদের মধ্যে ৭-৮ জন নদীতে ছিটকে পড়ার পর আতঙ্কে নদীতে ঝাঁপ দেন আরো ৮-১০ জন যাত্রী। তবে ওয়েল ট্যাংকারে থাকা কর্মীরা এবং নদীতে মাছধরা ট্রলার ও অপর একটি লঞ্চ এসে সবাইকে উদ্ধার করে। দুর্ঘটনায় লঞ্চের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
লঞ্চে থাকা যাত্রী সৈনিক মো. হারুন অর রশিদ, তারা মিয়া সহ কয়েকজন বলেন, দ্রুতগতিতে আসা ওয়েল ট্যাংকার সাংহাই-৪ এর সামনে দিয়ে দ্রুতগতিতে লঞ্চটি বের হতে গেলে ওয়েল ট্যাংকারের সঙ্গে লঞ্চের মাঝামাঝিতে ধাক্কা লাগে। এ সময় আমরা কয়েকজন যাত্রী নদীতে পড়ে যাই। লঞ্চের মাস্টার শহীদ শিকদার বলেন, আমি পাটুরিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে নদীর প্রায় মাঝামাঝিতে চলে আসি। এ সময় দেখতে পাই দুইটি ওয়েল ট্যাংকার পাল্লা দিয়ে আসছে। আমি দ্রুত লঞ্চটিকে পেছন দিকে ঘোরানোর চেষ্টা করেছিল কিন্তু পারিনি। ট্যাংকারটি আমার লঞ্চের মাঝামাঝি এসে ধাক্কা দেয়। এতে কয়েকজন যাত্রী ভয়ে লঞ্চ থেকে নদীতে ঝাঁপ দেন। লঞ্চটির সামান্য ক্ষতি হলেও যাত্রীদের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
বিআইডব্লিউটিএর স্থানীয় ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আফতাব উদ্দিন বলেন, দ্রুতগতিতে পাল্লা দিয়ে দুটি ওয়েল ট্যাংকার চলার কারণে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। তিনি লঞ্চের চালকদের আরও সতর্কতার সঙ্গে সবদিক খেয়াল রেখে লঞ্চ চালানোর ব্যাপারে পরামর্শ দেন।