
মোঃসিরাজুল ইসলাম পলাশ, হাতীবান্ধা লালমনিরহাট বিশেষ প্রতিনিধি
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের পশ্চিম বেজগ্রাম এলাকার কিশোর সজিব হোসেন। বৃদ্ধ বাবা-মায়ের অভাবের সংসারের হাল কাঁধে নিতে ঢাকায় গিয়ে পঙ্গু হয়েছেন তিনি।
জানা গেছে, উপজেলার পশ্চিম বেজগ্রাম এলাকার দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সৈয়দ আলীর ছেলে সজিব গত বছর এইচএসসি পরীক্ষা অংশ নেন। পরিক্ষা শেষে অলস সময় না কাটিয়ে ঢাকা যান তিনি। পরিবারের তিনজনেই যখন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী তখন নিজের পায়ে দাড়িয়ে বাবা মায়ের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন সজিবের। ঢাকায় গিয়ে একটি তুলা ফ্যাক্টরিতে কাজ শুরু করেন সজিব। কিন্তু সবার অজান্তেই তার শরীর ওপর তুলার ২৫ মণ ওজনের একটি বস্তা পড়ে যায়। এতে দুমড়েমুচড়ে যায় কিশোর সাজিবের মুখ। ভেঙে যায় বা পায়ের হাড়গোড়। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সজিবকে বরণ করে নিতে পঙ্গুত্ব। যেন স্তব্ধ হয়ে যায় পুরো পৃথিবী। থমকে দাঁড়ায় সজিবের পরিবার
আরো জানা গেছে, সরকারি খাস জমিতে বসত করে আসছে সজিবের পরিবার। বাবা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হওয়ায় কাজেও নেয়না কেউ। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বাবা মা কিভাবে করাবে প্রতিবন্ধী ছেলের চিকিৎসা। তা নিয়ে ঘুরছেন মানুষের দাঁড়ে দাঁড়ে। তাদের সংসার চলে প্রতিবন্ধী ভাতার টাকায়। কিন্তু সেই টাকা দিয়ে ছেলের ব্যয়বহুল এ চিকিৎসা করা সম্ভব নয়। তাইতো ছেলেকে সুস্থ করতে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বাবা মা।
দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সজিব বলেন, আমার পরিবারে সবাই প্রতিবন্ধী। বাবা একজন দিনমজুর। আমার চিকিৎসা আমার বাবার পক্ষে করা সম্ভব হচ্ছে না।ইতিমধ্যেই প্রায় দুই লাখ টাকা খরচ হয়েছে। আরো প্রায় এক লক্ষ টাকা দরকার। সবাই সহযোগিতা করলে আমি সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরব।
সজিবকে সহযোগিতা করতে যোগাযোগ-01723010137 (বিকাশ)