মো:সিরাজুল ইসলাম পলাশ,হাতীবান্ধা লালমনিরহাট বিশেষ প্রতিনিধি।
হাতীবান্ধায় যৌতুকের টাকার দাবিতে বীর মুক্তিযোদ্ধার কন্যাকে বাজারে জনসম্মুখে মারধরের অভিযোগ উঠেছে পাষন্ড স্বামী একরামুল ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে।
রোববার (৩১ মার্চ) বিকেলে উপজেলার মেডিক্যাল মোড় এলাকায় নিজের কাপড়ের দোকানে স্ত্রী মৌসুমি খাতুনকে বাবার বাড়ি থেকে ডেকে এনে মারধর করেন স্বামী একরামুল ও তার বড় ভাই এবং দোকানের মহিলা কর্মচারী।
এ ঘটনায় স্ত্রী মৌসুমি খাতুন বাদী হয়ে অজ্ঞাত একজনসহ ৩ জনের নামে হাতীবান্ধা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্তরা হলেন- পশ্চিম বেজগ্রাম ৭ নং ওয়ার্ডের মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে একরামুল ও এনামুল এবং একরামুলের দোকানের অজ্ঞাত একজন মহিলা কর্মচারী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা মহরম আলীর মেয়ে মৌসুমির সাথে অভিযুক্ত একরামুলের ৮ বছর পূর্বে বিয়ে হয় এবং তাদের সংসারে ৫ বছেরে একটি কন্যা সন্তান আছে। বিয়ের সময় একরামুলের পরিবার ৮ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে বীর মুক্তিযোদ্ধা পিতা বিভিন্ন সময়ে জামাইকে ৬ লাখ টাকা দেন কিন্তু আরো ২ লাখ টাকার দাবিতে বিভিন্ন সময় স্ত্রী মৌসুমিকে বাবার বাড়িতে পাঠাতেন। অসহায় বাবা টাকার ব্যবস্থা করতে না পারায় প্রতিনিয়ত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন পাষন্ড স্বামী একরামুল। এমতাবস্থায় যৌতুকের ২ লাখ টাকা ছাড়া বাড়িতে না উঠার শর্তে ৫ মাস পূর্বে সন্তানসহ স্ত্রীকে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেন তিনি।
পরে ৩১ মার্চ বিকেলে স্ত্রী মৌসুমিকে ফোন করে বাবা বাড়ি থেকে তার হাতীবান্ধা মেডিক্যাল মোরস্থ কাপড়ের দোকানে ডেকে এনে যৌতুকের টাকা চায় কিন্তু মৌসুমি বাবার অপারগতার কথা প্রকাশ করলে তার স্বামীর ভাই ও দোকানের মহিলা কর্মচারীর উস্কানিতে একরামুল ক্ষিপ্ত হয়ে বাজারে জনসম্মুখে শাশুড়ি ও ৫ বছরের সন্তানের সামনে স্ত্রী মৌসুমিকে চর থাপ্পড় সহ এলোপাথাড়ি প্রহার করে আহত করে। মৌসুমির আত্মচিৎকারে বাজারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, একটি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।