বাড়িবাংলাদেশেবরিশাল বিভাগলালমোহনে প্রবাসীর স্ত্রী স্বর্ণালংকার ও সন্তান নিয়ে উধাও 

লালমোহনে প্রবাসীর স্ত্রী স্বর্ণালংকার ও সন্তান নিয়ে উধাও 

অপু হাসান। লালমোহন(ভোলা)নিজস্ব প্রতিনিধি
ভোলার লালমোহনে ওমান প্রবাসীর স্ত্রী নগদ টাকা, আড়াই ভরি স্বর্ণের চেইন ও আংটি এবং ৮ বছর বয়সী ছেলেকে নিয়ে উধাও হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। 
উপজেলার লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড চর প্যায়ারীমোহন এলাকায় আলী হোসেন মাতব্বর বাড়িতে এঘটনা ঘটে।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী প্রবাসীর ভাই আলাউদ্দিন বলেন, আমার ভাই সালাউদ্দিনের সাথে পাশ্ববর্তী ইউনিয়ন রামগঞ্জ ইউনিয়নের হাফিজ উদ্দিন বাজার এলাকার মো: কবিরের মেয়ে আকলিমার সাথে ইসলামি শরীয়াহ মোতাবেক বিবাহ হয়। বিবাহর পর থেকে তারা খুব ভলো ভাবে সংসার করে আসছে, তাদের ঘরে ৮ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। বিগত কয়েক বছর আগে আমার ভাইকে তার স্ত্রী বিদেশে যাওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করে বিদেশে পাঠায়। তার কয়েক মাস  পর থেকে তার স্ত্রী আকলিমা নিজের ইচ্ছে মত চলাফেরা করে এবং কারো কথা শুনতো না। যখন যা খুশি যেখানে সেখানে অবাদে
চলাফেরা করতো এবং বিভিন্ন পুরুষ মানুষের সাথে ভিডিও কলে কথা বলতে থাকে। 
গত ১০ ফেব্রুয়ারী দুপুরে হঠাৎ করে সালাউদ্দিনের স্ত্রী তার বোন মরিয়মের বাড়ি যাবে বলে ছেলেকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। পরে তার ব্যাবহৃত মোবাইল নম্বরে যোগাযোগের চেস্টা করিলে বন্ধ পাওয়ায় । ব্যাপারটা তার পরিবারকে জানানো হলে তারা উল্টো আমাদেরকে মামলার ভয়ভীতি দেখায়।
এক পর্যায়ে তাকে অনেক খোজাখুজি করে না পেয়ে লালমোহন থানায় গিয়ে সালাউদ্দিনের স্ত্রী ও তার শ্বশুর-শাশুড়ি এবং শ্যালককে অভিযুক্ত করে একটি অভিযোগ দায়ের করি।
পাশ্ববর্তী এক ভাই নূরুল ইসলাম জানান, আকলিমা এর আগে রায়চাঁদ বাজারের দ্বীপু নামের এক হিন্দু এনজিও অফিসারের সাথে  ধরা পরছে। পরে  সালাউদ্দিন দেশে আসলে, শ্বশুর বাড়ি লোকজন তার কাছে ক্ষমা চাইলে পুনরায় মেনে নিয়ে সংসার করে।
এছাড়াও সালাউদ্দিনের ভাবি জান্নাত জানান, আকলিমার অনেক সমস্যা ও যখন তখন ছেলের সাথে সম্পর্ক করে ফেলে এর আগে এক ভেকু ওয়ালার সাথে চরফ্যাশন হোটেল গিয়ে ছিল। পরে তাকে উদ্ধার করে এনে জিজ্ঞেস করি এগুলো কেনো করো পরে সে বলে আমাকে বেশি টাকা দিলে আমি এগুলো করব না।
এরপর আমার তালোইয় (আকলিমার বাবা) কে খবর দিলে সে এসে ওকে সকলের সামনে পিটিয়ে আমাদের কাছে বুঝিয়ে দিয়ে যায়। তবে এবার কোথায় গেছে আমরা কেউ বলতে পারিনা। কারন তার ফোন বন্ধ পাওয়ায় যাচ্ছে।
সালাউদ্দিনের বৃদ্ধা মা শুধু আমার নাতিকে এনে দাও বলে আহাজারি করছে।
এছাড়াও আকলিমার বাবার এলাকায় সরেজমিনে সূত্রে একাধিক নারী ও পুরুষ জানায় এর আগেও শুনেছি বায়চাঁদ  বাজারে কার সাথে ধরা পরছে। এখন শুনি কোথায় যেন চলে গেছে। 
এবিষয়ে অভিযুক্ত আকলিমার বাবা মো. কবির জানান, মেয়েকে পাওয়া যাচ্ছেনা এমন খবর শুনে লালমোহন থানায় গিয়ে একটি জিডি করিলে থানা থেকে এক স্যার এসে জানায় আকলিমা ঢাকার কেরানীগঞ্জ আছে।
আকলিমা বাবা আরো জানান, ও নিজের কপাল নিজে নষ্ট করেছে। তবে আকলিমার শ্বশুর বাড়ীর লোকজনের কোন দোষ নেই। 
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলাম  জানান, প্রবাসীর স্ত্রী চলে যাওয়া সংক্রান্ত একটি জিডি ও অভিযোগ পেয়েছি।তদন্ত সাপেক্ষ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments