মোঃ ফায়সাল,(সৈয়দপুর, নীলফামারী)শিহ্মানবীস প্রতিনিধি।
শতাধিক সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পাশে দাঁড়ালো সেচ্ছাসেবী সংগঠন " আমাদের প্রিয় সৈয়দপুর"
আজ রোববার (৭ এপ্রিল) সকালে শহরের গোলাহাট, রাজ্জাকিয়া গফুরিয়া মাদরাসা মাঠে শতাধিক সুবিধাবঞ্চিত, প্রতিবন্ধী, এতিম ও অসহায় শিশুদের হাতে নতুন পোশাক ও ঈদ সালামী উপহার দিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন" আমাদের প্রিয় সৈয়দপুর "
'মানুষ মানুষের জন্য' প্রচলিত এই কথার ভিত্তিতে পৃথিবী সৃষ্টির শুরু থেকেই সময়ে -অসময়ে মানুষই মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। তারা যুগে যুগে একটি বার্তাই দিয়েছে যে মানবতাই শক্তি, মানবতাই মুক্তি।অসহায় মানুষের চোখের পানি মুছে দিয়ে বেঁচে থাকার নামই জীবন।
যানা যায় আগত শিশুদের অনেকের বাবা নেই, কারও নেই মা। তাদের অনেকে এতিম। আছে অনেকে শারীরিক প্রতিবন্ধি। যাদের বেড়ে উঠা ঝুপড়ি ঘরে। অভাব-অনটনের মধ্যে মানবেতর জীবনযাপন করছে এসকল শিশু। ঠিক এমন এতিম ও সুবিধাবঞ্চিত শতাধিক শিশুদের পাশে দাঁড়িয়েছে নীলফামারী সৈয়দপুরের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আমাদের প্রিয় সৈয়দপুর।
৯ বছরের এক শিশু রাকিব।বাবা নেই। ছেলের ঈদের নতুন জামার জন্য শঙ্কায় ছিল মা। অনেকদিন ধরে তার নতুন কোনো জামা নেই,এমন সময়ে ঈদের নতুন জামা পেয়ে সে আনন্দে মেতে উঠে।
নতুন টাকা আর ঈদের নতুন জামা পেয়ে উচ্ছাসিত অসহায় শিশু সোহাগী (১০)। সে জানায়, তার বাবা নেই। মা অন্যের বাসায় কাজ করে যা আয় করেন তা দিয়ে কোনমতে চলে। ঈদে নতুন পোশাক ও পরবির টাকা পেয়ে সে খুবই আনন্দিত।
সোহাগী, সিরাজের মত এভাবে এতিম, অসহায় শতাধিক সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের হাতে ঈদের নতুন জামা আর ঈদের সেলামী উপহার দিয়েছে নীলফামারীর সৈয়দপুরের স্বেচ্ছাসেবী এই সংগঠনটি।
বিতরণ কালে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক এমআর আলম ঝন্টু, রাজ্জাকিয়া গফুরিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক সফিকুল ইসলাম, সংগঠনের ওয়াকার আনসারী, এসরার আনসারী, নওশাদ আনসারী, সামিউল আলিম, আরিফুল ইসলাম প্রমুখ।
সংগঠনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ওয়াকার আনসারী বলেন, প্রতিবছর এরকম সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের ঈদের নতুন জামা ও সালামীর ব্যবস্থা করে থাকি আমরা। এবারও ঈদে ৩ পর্যায়ে আমরা সুবিধা বঞ্চিত শিশু ও নারী পুরুষদের ঈদের নতুন জামার উপহার দিচ্ছি। প্রথম পর্যায়ে শতাধিক সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের ঈদের নতুন জামা ও ঈদ সালামী দিচ্ছি এবং এরপর নারী-পুরষদের শাড়ি, লুঙ্গি, থ্রিপিস পাঞ্জাবি দেওয়া হবে। এবং চান্দ রাতে দুস্থ পরিবারগুলোর মাঝে সেমাই চিনি দুধ বিতরণ করা হবে। বড় আনুষ্ঠানিকতা না থাকলেও আমাদের সংগঠনের সদস্যরা এসব এতিম, ছিন্নমূল শিশু ও মানুষের কাঝে নতুন পোশাক পৌঁছে দিচ্ছে। আমাদের এই ধারাবাহিকতা ঈদের আগের দিন পর্যন্ত থাকবে। উপহার হিসেবে সামান্য হলেও শিশুদের মুখের হাসি আর ওদের প্রাপ্তির আনন্দই আমাদের স্বার্থকতা বলে জানান সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সাল থেকে শিশুদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে আসছে সংগঠনটি। বছর বছর বাড়ছে এর পরিধি। সদস্য আর সুহৃদয়বানদের নিজস্ব তহবিল থেকেই তারা ছিন্নমূল শিশুদের নিয়ে কাজ করে আসছে।