অরবিন্দ রায়, স্টাফ রিপোর্টারঃ
গোলয়া গ্রামের শিক্ষক, সমাজসেবক, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক, নীল মোহন রায়ের ৪২'তম মৃত্যু বার্ষিকী পালিত হয়েছে।
মহান এই ব্যক্তি শিক্ষকতা পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে শিক্ষা আলো ছড়িয়ে দিয়েছেন। যখন গ্রামাঞলে মানুষের শিক্ষার প্রতি আগ্রহ কম ছিল । তখন তিনি পড়াশোনা করার জন্য মানুষ কে উৎসাহ দিতেন।
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক হিসেবে তিনি মানুষের সেবা করেছেন। বড়ই বাড়ি, গোলয়া, ডাকুরাই, কোন্দাঘাটা, বোয়ালীসহ বিভিন্ন গ্রামের মানুষ সকালে বাড়িতে ভীড় জমত । শিশুদের ঠান্ডাসহ বিভিন্ন রোগের ঔষধ খেলে কাজ করত। শিক্ষক নীলমোহন রায় আজ বেঁচে নেই তবু্ও মানুষের অন্তরে বেঁচে আছেন।
শিক্ষক নীল মোহন রায় বড়বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বোয়ালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মৃত্যুর পূর্ব মূহুর্ত পর্যন্ত শিক্ষকা করেছেন। তিনি ১০ অক্টোবর ১৯৮২ সালে মৃত্য বরন করেন।
শিক্ষক নীল মোহন রায়ের তিন ছেলে, তিন মেয়ে। এ পরিবারে শিশু ছাড়া কেউ গ্যাজুয়েশন ডিগ্রির নিচে কেউ নেই । একই পরিবারে তিন ভাইয়ের মধ্যে দুই ভাই ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করেছেন। দুই বোন এম বি বি এস ডিগ্রী অর্জন করেছেন। বড় ছেলে ড. রাম দুলাল রায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করেছেন । পরে তিনি জাহাঙ্গীরনর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। মেজ ছেলে চিও রঞ্জন রায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনা করেছেন। পরে তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ছোট ছেলে জা. বি থেকে বি, কম অর্নাস এম, কম পাশ করেছেন। একই পরিবারে দুই মেয়ে এম বি বি এস ডাক্তার এক মেয়ের জামাই এম বি এস ডাক্তার, এক মেয়ের জামাই সহকারী কমিশনার ভূমি। একই পরিবারের তিন ছেলের বউ শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত। এই পরিবারের শিশু ছাড়া কেউ এম এ পাশের নিচে নাই। আলোকিত একই পরিবারের সকলকেই এলাকায় সম্মানিত ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত।
শিক্ষক নীলমোহন রায় অসময়ে পরপারে চলে যাওয়ায় পরিবারের, সমাজের, দেশের আলোকিত মানুষের গড়ে তুলতে সহযোগিতা করতে পারতেন।
শিক্ষক নীল মোহন রায়ের মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে আজ সকালে গীতা পাঠ সত্য রঞ্জন চক্রবর্তী, সহযোগীয় ছিলেন নেপাল চন্দ্র চক্রবর্তী। গীত পাঠ শেষে মধ্যহ্ন ভোজ ৪ শত মানুষের মধ্যে বিতরন করা হয়।
ব্যবস্যায়ী উৎপল রক্ষিত জানান, নীনমোহন স্যার ছিলেন একজন আর্দশ মানুষ। তিনি নিজের পরিবারে সদস্যদের শিক্ষায় আলোকিত করেছেন। মৃত্যু ৪২ ব মানুষের মনে বেঁচে আছেন। এখনো স্যারের প্রাক্তন ছাএদের মুখে তার কীর্তিময় আলোকিত জীবনের কথা শোনতে পাই। মৃত্যু বার্ষিকীতে উপস্থিত থাকতে পেরে আমি গর্বিত। তার আত্নার শান্তি কামনা করি।
শিক্ষক নীল মোহন রায়ের মৃত্যু বার্ষিকী তে স্হানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মী, সমাজ সেবক, গ্রামবাসী, প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।