মোঃ আবু জাফর,কুমিল্লা আদর্শ সদর(কুমিল্লা)শিক্ষানবিশ প্রতিনিধি।
বিশেষ প্রতিবেদন: শারীরিকভাবে সুস্থ মানে এই নয় আপনার সন্তান সঠিকভাবে বেড়ে উঠছে প্রয়োজন সুষ্ঠু মানসিক বিকাশ। আমরা শিশুদের শারীরিক বিকাশে যতটা মনোযোগ দিই, মানসিক বিকাশে ততটা মনোযোগের প্রয়োজন বোধ করি না। কিন্তু মানসিকভাবে সুস্থ না হলে শিশুর সঠিক বিকাশ সম্ভব নয়।
থাইরয়েড হরমোন শিশুদের মস্তিষ্ক বিকাশে ও বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি মস্তিষ্কের কোষের সংখ্যা বৃদ্ধি, কোষের মধ্যে যোগাযোগ এবং মস্তিষ্কের বিপাকক্রিয়া উন্নত করে। থাইরয়েড হরমোনের অভাব হলে শিশুদের মানসিক বিকাশ ব্যাহত হয়, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধিতা, মানসিক বিভ্রান্তি, মেজাজ পরিবর্তন, স্মৃতিশক্তি হ্রাস এবং শিখন সমস্যার মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি মোবাইল কল যখন দুই মিনিট স্থায়ী হয় তখন তা শিশুদের মস্তিষ্কের হাইপার অ্যাক্টিভিটি সৃষ্টি করে, যা পরবর্তী এক ঘণ্টা পর্যন্ত তাদের মস্তিষ্কে বিরাজ করে। যার ফলে শিশুর স্নায়ু দুর্বল হয়ে পড়ে, মেজাজ খিটখিটে হয়, রক্তচাপ বেড়ে যায় এবং ঘুমের ব্যাঘাত করতে পারে। ভিডিও গেমের আসক্তি শিশুদের মানসিক বিকাশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. নাসরিন ওয়াদুদ বলেন, প্রতিনিয়ত ভিডিও গেম খেললে শরীরে এক ধরনের হরমোন নিঃসরিত হয়। ফলে শিশুরা সহজে উত্তেজিত হয়ে উঠে।
বর্তমান দেশের প্রতিযোগিতাপূর্ণ প্রেক্ষাপটে অতিরিক্ত পড়াশোনা কারণে শিশুরা শারীরিক ও মানসিক চাপে পড়তে হচ্ছে। পড়াশোনার ক্ষতি বিবেচনা করে অভিভাবকরা শিশুদের খেলাধুলা থেকে বিরত রাখে। পড়াশুনা নিয়ে কেবল ব্যস্ত থাকলে শিশুরা নিষ্প্রাণ ও মানসিকভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়ে। খেলাধুলার মাধ্যমে শিশুদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ ও সম্প্রীতির সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। একমাত্র খেলাধুলা শিশুদের মানসিক বিকাশ ও বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।