
রিদুয়ানুল বারী, সন্দ্বীপ (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি।
বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ সন্দ্বীপ কেন্দ্রের উদ্যোগে ১৯ ও ২০ মার্চ সংস্থাটির এনাম নাহার মোড় কার্যালয়ে উদ্যোক্তা নারীদের জন্য সৃজনমূলক দক্ষতা উন্নয়ন ( হাঁস- মুরগী গবাদি পশু) পালনের উপর ২ দিনের প্রশিক্ষন অনুষ্ঠিত হয়। প্রশিক্ষনে মূল রির্সোস পার্সন ছিলেন সন্দ্বীপ উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার মোঃ আলী আজম।
এতে হারামিয়া রহমতপুর পৌরসভা ও মুছাপুর এলাকার ২০ জন নারী উদ্যোক্তা অংশ গ্রহন করে, যারা সরাসরি হাঁস মুরগী ও গবাদি পশু পালনের সাথে সম্পৃক্ত , নারী প্রগতি সংঘের উন্নয়ন কর্মকর্তা শাহেনা বেগমের সঞ্চালনায় প্রশিক্ষনে শুভেচ্ছা বক্তব্যে নারী প্রগতি সংঘ সন্দ্বীপ কেন্দ্রের ব্যাবস্হপক মোঃ শামসুদ্দিন বলেন দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের ও বেশি হচ্ছে নারী এই নারীদের কর্মসংস্হানের বাহিরে রেখে পরিবার সমাজ তথা রাষ্ট্রের উন্নয়ন সম্ভব নয়।
নারীরা যদি পারিবারিক ভাবে হাঁস মুরগী ও গবাদি পশু পালনের সাথে সম্পৃক্ত থাকে তাহলে তাদের হাতে কিছু সৃজনমূলক আয় আসে, আর হাতে টাকা পয়সা থাকলে হতাশা না থাকার কারণে ব্রেণ বুদ্ধি বেড়ে যায়, পারিবারিক বিপদে আপদে সে ভুমিকা রাখতে পারে এবং গ্রহণ যোগ্যতা ও বাড়ে।প্রশিক্ষনের মূল বিষয়ের মধ্যে ছিল হাঁস মুরগী ও গবাদিপশুর যত্ন, টিকা দেয়ার গুরুত্ব, কখন টিকা দিতে হয়, কৃমিনাশক ঔষধ ও কয় মাস পর পর কৃমির ঔষধ খাওয়াতে হয়, খুরা রোগ কি ও তার প্রতিকার প্রভৃতি।
প্রশিক্ষন শেষে প্রত্যেক প্রশিক্ষনার্থীকে হাঁস মুরগী ও পশু পালনের মুলধনের জন্য ৪ হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়। প্রশিক্ষনে সার্বিক সহযোগিতা করেন নারী প্রগতি সংঘের প্রোগ্রাম অর্গানাইজার সাবিনা ইয়াসমিন, বিপ্লব গুহ, ও কিরণ চন্দ্র রায়।