সন্দ্বীপ (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি।

সন্দ্বীপ উপজেলার ১৭ নং মগধরা ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ দফাদার সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় এলাকার জনগণকে জম্মনিবন্ধন করে দেবে বলে অর্থ আত্মসাৎ, বিধবা ভাতার কার্ডের নামে টাকা গ্রহন, বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেবে বলে জালিয়াতি, অতিরিক্ত ইউনিয়ন ট্যাক্স আদায় ও অন্যের স্ত্রীর সাথে পরকীয়া সহ নানান অভিযোগে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৮ এপ্রিল সোমবার সন্ধ্যা ৭ টায় মগধরা ইউনিয়নের নোয়াহাট বাজারে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এতে বক্তব্য রাখেন মগধরা ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির, মগধরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ছাব্বির, মোঃ আকতার হোসেন, ভুক্ত ভোগী জুয়েল ,সামসুল আলম, জাকের হেলাল, সফিক, আবদুর রহমান , রুহুল আমিন, কালাম, রফিক, দেলোয়ার, রিয়াদ আহাসান উল্ল্যাহ সহ অনেকে। প্রতিবাদ সমাবেশে বিক্ষুব্ধরা বলেন এই সাইফুলের অত্যচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী,পরিষদ থেকে সরকার প্রদত্ত বিভিন্ন সুবিধার জন্য গ্রামের মহিলাদের মোবাইল নাম্বার নিয়ে ঐ সকল নাম্বার গুলো তে ফোন দিয়ে অনৈতিক প্রস্তাব দেয়, সে সব সময় ধরাকে সরা জ্ঞান মনে করে, সে প্রবাসীর স্ত্রীকে রাতের অন্ধকারে পরকীয়া, ৫ এপ্রিল দিবাগত রাতে সবাই যখন তারাবী নামাযে ব্যস্ত ঠিক এই সুযোগে চকিদার সাইফুল প্রতিদিনের মতো প্রবাসী শাকিলের বাড়ির পেছেন দিক থেকে প্রবেশ করে রান্না ঘরের পাশে লাকরির ঘরে।সেখানে প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে নিত্যদিনের মতো সময় কাটাই একান্তে। এসময় পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা যুবকেরা চারিদিক থেকে ঘিরে ধরে ফেলে চকিদার সাইফুল কে। সে স্বীকার করেছে এ নারীর সাথে তার স্বামীর সরলতায় পরিবারের দেখাশুনার নামে দীর্ঘদিন ধরে দিনে ও রাতে এখানে আসা যাওয়া করে।

ঘটনার পর সমাধানের জন্য বসে শালিসি বৈঠক। এ সময় সন্তানদের দিকে চেয়ে সাইফুলের পক্ষে তার বউ গিনা বেগমের এবং প্রবাসীর বউয়ের পক্ষে তার শাশুড়ির কান্নাজড়িত ক্ষমা চাওয়া উপস্থিত সকলে আবেগাপ্লুত হয়ে ওঠে। সাইফুলের সাথে এ প্রতিবেদক ফোনে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ গুলো সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে সে স্বীকার করে যে তার স্ত্রীর নামে বিধবাভাতার কার্ড রয়েছে। এদিকে স্হানীয় মেম্বার রাকিব জাহাঙ্গীর কে গ্রাম পুলিশের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীর অভিযোগের কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন সাইফুল দীর্ঘদিন ধরে এসব অপকর্ম করে আসছে, তাকে সাবধান করা হয়েছে। কিন্তু গ্রামবাসী এখন ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেছে।তারা আজ সকালে মগধরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এর কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ করেছেন।শুনেছি ইউএনও মহোদয় এর কাছেও যাবেন। এদিকে গ্রাম পুলিশ সাইফুল কে অবিলম্বে চাকুরী থেকে বহিষ্কার করার দাবিতে সকালে নোয়াহাট বাজারে মহিলারা এবং সন্ধ্যায় পুরুষদের প্রতিবাদসভা ও গনস্বাক্ষর করছে এলাকাবাসী।