ইয়াসিন আরাফাত মাদারগঞ্জ (জামালপর) নিজস্ব প্রতিনিধি :
জামালপুরের মাদারগঞ্জে চকলেট খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ ও মেলান্দহ উপজেলায় শাক তোলার কথা বলে ৬ বছরের শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত একজন সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র এবং অপরজন শিশুটির দাদা।
সোমবার (১০ মার্চ) রাত নয়টার দিকে মাদারগঞ্জ থানায় ও দুপুরে মেলান্দহ থানায় পৃথক মামলা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার পাঁচ বছরের শিশুটি জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার জোড়খালী ইউনিয়নের। অভিযুক্ত মো.তন্ময় হাসান (১৫) ওই এলাকার রবিউল মণ্ডলের ছেলে ও স্থানীয় একটি স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। সম্পর্কে শিশুটির প্রতিবেশী চাচা।
ধর্ষণচেষ্টার শিকার ছয় বছরের শিশুটির বাড়ি মেলান্দহ উপজেলার ঝাউগড়া ইউনিয়নে। অভিযুক্ত একই ইউনিয়নের সামছুল হক (৫৫)। তিনি শিশুটির সম্পর্কে দাদা।
পুলিশ ও মামলার এজাহারে জানা গেছে, সোমবার দুপুরে মাদারগঞ্জ উপজেলার জোড়খালী ইউনিয়নের বাসিন্দা মো.তন্ময় ওই শিশুকে চকলেট খাওয়ানোর কথা বলে কৌশলে তার ঘরে নিয়ে যায়। পরে ঘরের দরজা বন্ধ করে সাউন্ড বক্সে উচ্চ শব্দে গান বাজিয়ে শিশুটিকে জোরপূর্ব ধর্ষণ করে। এ সময় শিশুটির ডাক-চিৎকারে মা গিয়ে ধর্ষণ করা অবস্থায় দেখে মেয়েটিকে উদ্ধার করে। তখন বখাটে ঘর থেকে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত তন্ময় ও তার পরিবারের লোকজন গা ঢাকা দিয়েছে।
অপরদিকে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি মেলান্দহ উপজেলার ঝাউগড়া ইউনিয়নের ছয় বছরের ওই শিশুকে তার সহোদর দাদা সামছুল হক শাক তুলার কথা বলে বাড়ির পাশে ঝিনাই নদীর পাড়ে নিয়ে যান। সেখানেই শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়।
মাদারগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)হাসান আল মামুন বলেন, ভুক্তভোগীর মা থানায় মামলা করেছে৷ আসামিকের গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে৷ এছাড়া শিশুটির শারীরিক পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মেলান্দহ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি আগের তবে ভুক্তভোগীর মা রোববার মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত একজনই, ভুক্তভোগীর আপন দাদা। বিষয়টি খুব শতর্কতার সাথে দেখা হচ্ছে৷ অভিযুক্তকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।