
ফুলপুর(ময়মনসিংহ)নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
টানা কয়েক দিনের বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আশা পাহাড়ি ঢলে ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী উপজেলা হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়ার প্রায় সব কয়টি ইউনিয়ন বন্যা কবলিত হয়ছে। এতে দুই উপজেলার কয়েক হাজার একর ধানের জমি ও সবজি ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে।তলিয়ে গেছে শত শত ফিসারী, পুকুর,মাছের ঘের চলে ঘছে লক্ষ লক্ষ টাকার মাছ। এতে সর্বস্বান্ত হয়ে গেছে হালুয়াঘাট ধোবাউড়ার হাজারো কৃষক ও মাছ চাষি । ফলে তাদের অনেকের যে অনেক স্বপ্ন ছিল এই ফসল ও মাছ চাষকে ঘিরে তা নিমিষেয় ধুলিস্যাৎ হয়ে গেছে।
হালুয়াঘাট উপজেলা উত্তরাঞ্চলে বন্যার পানি কমতে থাকলেও দক্ষিণ অঞ্চল তথা ধারা, ধুরাইল,আমতৈল,শাকুয়াই এলাকার বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে।
যেসব এলাকায় পানি নেমে গেছে সেসব এলাকায় স্পষ্ট হচ্ছে বন্যার ক্ষত চিহ্ন। অনেকের কাঁচা ঘর বাড়ি ধষে পড়েছে। পাকা ঘর গুলোতেও পানি উঠে নষ্ট হয়েছে দামী দামী আসবাবপত্র,ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। অনেক এলাকায় ত্রান সহায়তা দেওয়া হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় সেগুলো খুব অল্প । অনেক এলাকায় এখনো ত্রান পৌছায়নি ত্রানের জন্য হাহাকার করছে বহু মানুষ।
যেসব এলাকায় ফসলের মাঠ গুলোতে গত কয়েক দিন পূর্বেও ছিল চারদিকে সবুজের সমারোহ সেখানে এখন শুধু অথৈ পানি। ফলে কৃষদের কপালে এখন চিন্তার ভাজ। অনেক কৃষক মানুষের জমি বর্গা চাষ করত অন্যের কাছ থেকে সুধের টাকা নিয়ে জমি চাষ করেছিল। এবং ব্যাংক ও বিভিন্ন এনজিও থেকে লোন নিয়ে মাছ চাষ করে ছিল। এখন তাদের সেই সোনালী ফসল ও মাছ বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় এখন তারা দিশেহারা। কিভাবে তারা এই ঋণ পরিশোধ করবে। কিভাবে এনজিওর কিস্তি চালাবে। সন্তানাদি নিয়ে কি খাবে ও গবাদী পশুকে কি খাওয়াবে তাই নিয়ে চিন্তিত তারা।
এখন এসব এলাকার কৃষকদের দাবি হলো এ সকল এনজিওর কিস্তিগুলো যেন আপাতত দিতে না হয়। এবং তাদের সুদ গুলো যেন মাফ করে দেওয়া হয়। তা নাহলে তাদের এখন সন্তানাদি নিয়ে চলা কষ্টকর হয়ে যাবে।