বাড়িবাংলাদেশেরাজশাহী বিভাগসলঙ্গায় সলপের ঘোলের কদর

সলঙ্গায় সলপের ঘোলের কদর

আবু হানিফ উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) নিজস্ব  প্রতিনিধি :
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার সলপের ঘোল এখন সলঙ্গায়। শুধু সলঙ্গা নয়,ঐতিহ্যবাহী সলপের ঘোলের কদর দেশজুড়ে।রমজান আসলেই চাহিদা বাড়ে সলপের ঘোলের দিকে।রোজা শুর হতেই সলঙ্গার বাজারে সলপের ঘোলের চাহিদা বেড়ে গেছে কয়েকগুণ।এর ফলে কর্ম ব্যস্ততাও বেড়েছে ঘোলকর্মী ঘোষদের।সলপের ঘোল উল্লাপাড়া ছাড়াও পার্শ্ববর্তী সলঙ্গা,কামারখন্দ,বেলকুচি,শাহজাদপুর,সিরাজগঞ্জ সদর থেকে ক্রেতারা প্রতি নিয়ত সলপ স্টেশনে ঘোল কিনতে যায়।সলঙ্গা বাজারের আলিম হোটেল হতে মাংশ হাটা পর্যন্ত টেবিলে বোতল সাজিয়ে সারিবদ্ধভাবে বিক্রি হচ্ছে সলপের ঘোল।অনেকে মাইক্রোফোনে কল রেকর্ড করে ঘোলের প্রচার করছেন।এ ছাড়াও মাদ্রাসা মোড়,থানা মোড়,নিমগাছী রোডের বিভিন্ন পয়েন্টে সলপের ঘোল বিক্রি করছেন।প্রতি কেজি ঘোল বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা আর মাঠা ১২০ টাকা।জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত সলপের ঘোল বিক্রেতা আব্দুল মালেক জানান,বৃটিশ আমল থেকে তৎকালিন স্যানাল জমিদারের পৃষ্ঠপোষকতায় সলপে ঘোলের কারখানা গড়ে ওঠে। ঐ সময় ভারতের  কলকাতাতেও যেত সলপের ঘোল।তখন থেকেই সলপের ঘোলের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশ ও ভারতে।সলপে মালেক,খালেক,রাজ্জাক,সোবাহানসহ ৮/১০ টি ঘোলের কারখানা রয়েছে।তিনি আরও জানান,প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ মনের বেশি ঘোল উৎপাদিত হয়।এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি  মালেক ও খালেকের কারখানার ঘোল উৎপাদিত হয়। বর্তমানে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় এই  ঘোলের চাহিদা রয়েছে।অগ্রিম অর্ডার মোতাবেক ভোর হতেই বিভিন্ন জেলা,উপজেলায় পৌছানোর জন্য প্যাকেজিং শুরু করলে ক্রেতারা এসে ঘোল নিয়ে যায়। 
RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments