
সখিপুর(টাঙ্গাইল)শিক্ষানবিশ প্রতিনিধি
ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার খারুয়ালী গ্রামের ইট বালুর ব্যবসায়ী আনিস খান, পিতা- মোজাফফর আলী খান সহজ সরল নারীদের প্রতারণার ফাদে ফেলে বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করে এই পর্যন্ত বিয়ে করেছেন সাত জন কে। উক্ত স্ত্রীদের মধ্যে তাহার ৬ নাম্বার স্ত্রী সালমা আক্তার, পিতা- আব্দুস সালাম মিয়া, গ্রাম- চামিয়াদী,থানা ভালুকা,জেলা ময়মনসিংহ, ( বর্তমান ঠিকানা- সখিপুর,টাংগাইল) দৈনিক প্রথম বাংলা সংবাদ পত্র কে অবগত করেন এই বিষয়ে যে, তাহার স্বামী আনিস খান তার পরিবার কে বিভিন্ন ভাবে লোভ দেখিয়ে রাজি করিয়ে আত লক্ষ টাকার কাবিন ধার্য করে সালমা আক্তার কে বিগত ০৪/০৫/২০২৩ সালে বিবাহ করেন। বিয়ের সময় আনিস খান কে তার পূর্বের স্ত্রীর কথা জিজ্ঞাসা করিলে সে তাকে মৃত্যু ঘোষণা করে বিবাহ কার্যক্রম শেষ করে নব বধু কে তাহার বাবার বাড়িতে রেখেই সংসার জীবন শুরু করেন এই বলে যে কিছু দিনের মধ্যেই তাকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে, এই ভাবে কিছু দিন পার হয়ে যাওয়ার পরে আনিস খান তার স্ত্রী সালমা আক্তার কে পরামর্শ দিয়ে এন জিও হইতে এক লক্ষ নব্বই হাজার টাকা লোন করেন ব্যবসায়ী প্রয়োজন দেখিয়ে এবং সালমা আক্তারের এক কাকির কাছে থেকে তাকে ইট বালু দেওয়ার কথা বলে নগদ পাচ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন, অত:পর বিয়ের ছয় মাস পার হওয়ার পরো যখন আনিস খান সালমা আক্তার কে তার বাড়িতে নিতে অনিইচ্ছা প্রকাশ করেন তখন ভাল ভাবে খোজ খবর নিয়ে জানতে পারেন আনিস খানের আরো পাচ জন স্ত্রী পূর্বের রয়েছে। উক্ত বিষয়ে আনিস খান কে জিজ্ঞাসাবাদ করিলে সে অশিকার করেন এবং তাহার প্রথম স্ত্রী যাকে তিনি মৃত্যু ঘোষণা করেছিলেন তাকে সহো সালমা আক্তারের বাড়িতে আরো দুই ভাই মোস্তফা,ও আকরাম কে নিয়ে এসে ক্ষমা চেয়ে ভাল ভাবে সংসার করার প্রতিশ্রুতি দেন। কিছু দিন পরে সালমা আক্তার কে নিয়ে সখিপুর উপজেলার একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস শুরু করার কথা বলে সালমা আক্তার কে ভাড়া বাড়িতে রেখে গত ০৫/০২/২০২৪ ইং তারিখ হইতে কোন প্রকার যোগাযোগ না করে পালিয়ে বেড়াচ্ছে এই ভাবে আনিস খান দীর্ঘদিন পার হয়ে যাওয়ার পরেও সালমা আক্তারের সাথে কোন যোগাযোগ রাখেন না বিদায় বাসা ভাড়া পরিশোধ না করার ফলে বাড়ির মালিক তাকে বাসা হইতে অপমান করে বিদায় করে দেন। অত:পর সালমা আক্তার কোন কুল কিনারা না পেয়ে গত ১৭/০৬/২০২৪ তারিখে আনিস খানের ঠিকানা অনুযায়ী তাহার বাড়িতে যান। আনিস খানের বাড়িতে প্রবেশ করার পরে তাহার প্রথম স্ত্রী এবং আনিস খান সহো তার দুই ভাই মোস্তফা ও আকরাম মিলে সালমা আক্তার কে অকাথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে এবং কিল ঘোষী লাথি মেরে সালমা আক্তারের গর্ভে থাকা ৫ মাসের সন্তান নষ্ট করে ফেলেন সেই সাথে হুমকি প্রদান করেন যদি পরবর্তীতে আনিস খানের সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাহলে সালমা আক্তার কে সহো তার পরিবারের বসত বাড়ি আগুন লাগিয়ে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে এলাকা ছাড়া করবে। এমতাবস্থায় সালমা আক্তার ভালুকা থানায় অভিযোগ দায়ের করার চেষ্টা করিলে তাকে বিভিন্ন লোক মারফতে প্রাণ হানীর হুমকি প্রদান করে বিদায় করে দেওয়াতে সালমা আক্তার অসহায় হয়ে ভালুকা পৌরসভার ব্যবসায়ী সমিতির কাছে বিচার প্রার্থী হোন। এক পর্যায়ে ব্যবসায়ী সমিতির কমিটি বৃন্দ আনিস খান কে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করিলে সে সালমা আক্তার কে ডিভোর্স দিয়েছে বলে একটি ভূয়া কাগজ উপস্থাপন করেন এবং বিচারকদের কে চ্যালেঞ্জ করে বলেন যদি সম্ভব হয় তাহলে যেনো তাকে আইনের আওতায় নিয়ে দেখিয়ে দেয়। ভুক্তভোগী সালমা আক্তাতার বর্তমানে তার বাবার বাড়িতে বসবাস করিতেছেন।