মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে পেশাগত দায়িত্বপালন শেষে উপজেলা সদরে যাবার পথে উবাহাটা এলাকায় মধ্যযুগীয় কায়দায় সাংবাদিক আব্দুল বাছিতের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে কর্মরত সকল সাংবাদিকদের বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার দুপুরে উপজেলা চৌমুহনা চত্বরে সর্বস্থরের সাংবাদিকরা এই প্রতিবাদ সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন।
কমলগঞ্জের কাগজ পত্রিকার সম্পাদক ও পৌর মেয়র মো. জুয়েল আহমদের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক সাজিদুর রহমানের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক শাহীন আহমেদ, সাংবাদিক সমিতি কমলগঞ্জ ইউনিটের সভাপতি নূরুল মোহাইমীন মিল্টন, কমলগঞ্জ প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি প্রনীত রঞ্জন দেবনাথ, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, সাংবাদিক মুজিবুর রহমান, নির্মল এস পলাশ, এম.এ.ওয়াহিদ রুলু, এম.এ. হামিদ, ইসমাইল হোসেন। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক জয়নাল আবেদীন, কামরুল হাসান মারু, আব্দুর রাজ্জাক রাজা প্রমুখ।
সমাবেশে নিরাপদ সড়ক চাই উপজেলা কমিটি, উপজেলা চৌমুহনী বাজার ব্যবসায়ী সমিতি একাত্মতা প্রকাশ করেন। শনিবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে কমলগঞ্জ-মুন্সীবাজার সড়কের উবাহাটা এলাকায় মোটরসাইকেল যোগে ৩ জন সন্ত্রাসী সাংবাদিক আব্দুল বাছিত' খান এর মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে তার হাত, পা, মাথাসহ বিভিন্ন স্থানে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। পরে সন্ত্রাসীরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
এ সময় সাংবাদিকের সাথে থাকা আরেক সহকর্মী আমিনুল ইসলাম হিমেল চিৎকার শুরু করলে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে গুরুতর আহত অবস্থায় আব্দুল বাছিতকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আব্দুল বাছিত দৈনিক খবরপত্র পত্রিকার কমলগঞ্জ প্রতিনিধি।
সমাবেশে বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সন্ত্রাসীদের উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে সাংবাদিক আব্দুল বাছিতের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে লড়ছে। অনিয়ম, দুর্ণীতি নিয়ে সংবাদ প্রকাশে সাংবাদিকরা চরম নিরাপত্তাহীনতায়। প্রকাশ্য দিবালোকে আব্দুল বাছিতের উপর হামলাকারী ও পরিকল্পনাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির নিশ্চিত করতে হবে।
কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ইয়ারদৌস হাসান বলেন, যত দ্রুত সম্ভব আসামীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য সব ধরণের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে। এঘটনায় কোন ছাড় দেয়া হবে না বলে তিনি সাংবাদিকদের আশ্বস্থ করেন।