
শরিফুল ইসলাম,কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা)বিশেষ প্রতিনিধি:
ঘেরে মাছ চুরি করতে গিয়ে চোরাই মাছ সহ চোর সম্রাট শরিফুল ইসলাম জনতার হাতে ধরা পড়ে গণপিটুনিতে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে এ যাত্রায় রেহাই। সাতক্ষীরার জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা ,তারালী ইউনিয়নের বিল গুললে এবং বাথুয়াডাঙ্গা জৈরে বিলের ঘের মালিক শেখ আরিজুল ইসলামের মৎস্য ঘেরে গত মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল )রাত ২ টার দিকে মাছ চুরি করতে গেলে এ ঘটনা ঘটে। জনতার হাতে আটক চোর সম্রাট শরিফুল ইসলাম (৪৬) বাথুয়াডাঙ্গা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ হোসেনের পুত্র। আটক হওয়া শরিফুল ইসলাম জানায় বাথুয়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত মাদার আলীর পুত্র এশার আলী , ফরহাদ গাজীর পুত্র লিটন এবং পানার গাজীর পুত্র রেজাউল ইসলাম মিলে চোর সম্রাট শরিফুলের নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে তারালী ও নলতা ইউনিয়নের বিল গুললে, বাতুয়াডাঙ্গা জৈরে বিলের বিভিন্ন ঘের মালিকদের মৎস্য ঘের থেকে মাছ চুরি করে আসছিল। এতে করে ঘের মালিকরা অতিষ্ঠ হয়ে সারারাত ব্যাপী পাহারা বসায়। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাতে দুর্যোগ পূর্ণ আকাশে মেঘ থাকা অবস্থায় আরিজুল শেখের মৎস্য ঘেরে মাছ চুরি করতে যায় ।ঐ সময় রাত জাগা পাহারাদাররা মাছ সহ হাতে নাতে ধরে রাতভর গণপিটুনি দিয়ে বেঁধে রাখে। পরে খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য হারুন অর রশিদের সহায়তায় নলতা ইউনিয়ন পরিষদে নেওয়া হয়। সেখানে নলতা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম এবং তারালী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ইউপি সদস্য কবীর হোসেন ও ইউপি সদস্য দেবপ্রসাদের মধ্যস্থতায় সালিশি বৈঠকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। উপায়ান্তর না পেয়ে চোর সম্রাট শরিফুল ইসলামের পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ হোসেন জরিমানার টাকা দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে এসে এ যাত্রায় রেহাই দেয়। এই চোর চক্রটির জ্বালায় নলতা এবং তারালী ইউনিয়নের ঘের মালিকরা তাদের রাতের ঘুম হারাম করে প্রতিনিয়ত পাহারা দিয়েও ধরতে পারছিল না। শরিফুল ধরা পড়ায় অত্র এলাকায় কিছুটা হলেও ঘের মালিকদের মধ্যে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে বলে স্থানীয় ঘের মালিকরা দৈনিক প্রথম বাংলার প্রতিনিধি কে জানায়।