
মোঃ আবু জাফর, কুমিল্লা (আদর্শ সদর)শিক্ষানবিশ প্রতিনিধি ।
বিশেষ প্রতিবেদন: কামার পল্লীগুলো দেশের প্রাচীন ঐতিহ্য ধরে রাখলেও সময়ের পরিক্রমায় আধুনিকায়নের ফলে এই শিল্প এখন অবহেলার মুখে। বিগত কয়েক বছর থেকেই ভিন্ন রকম চেহারা দেখা যাচ্ছে কুমিল্লার কামার পল্লীগুলোতে।
আগামী ১৭ জুন পবিত্র ঈদুল আযহা তবুও কর্মব্যস্ততা নেই পাশাপাশি ক্রেতার সংখ্যা একেবারে নগন্য। আধুনিক মেশিনে তৈরি দা, ছুরি, বটি, চাপাতি ও টাক্কেল সহজলভ্য হওয়ায় ক্রেতারা কামারের দোকানে আসতে চায় না।
কুমিল্লা নগরীর সবচেয়ে পরিচিত চকবাজার কামার পল্লী। অভিজ্ঞ কামার শিল্পী রতন কর্মকার বলেন,
আমার পূর্ব পুরুষরা এই শিল্পের সাথে জড়িত ছিলেন। আমি ছোটবেলা থেকেই চাচার সাথে কাজ করি।দিন দিন এই শিল্পের প্রতি সবার আগ্রহ কমে যাচ্ছে। বিশেষ প্রয়োজন ( মেরামত) ছাড়া কেউ আসতে চায় না। আমাদের খরচ অনেক বেড়ে গেছে অন্যদিকে কর্মচারী পাওয়া যায় না। ঈদে আমারা ব্যস্ত সময় পার করতাম। প্রচুর অর্ডার আসত এবং বেশি লাভবান হতাম । কয়েক বছর ধরে এই শিল্পে এক ধরনের ভাটা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।এভাবে চলতে
থাকলে এই শিল্প টিকিয়ে রাখা দুষ্কর হবে।
কয়েকজন ক্রেতার সাথে কথা বলে জানা গেছে, মেশিনে তৈরি দা, ছুরি,বটি, চাপাতি ও টাক্কেল সহজলভ্য ও খরচ তুলনামূলক অনেক কম। এগুলোর মধ্যে চাকচিক্য লক্ষ্য করা যায়। কামারের দোকানে পছন্দের জিনিসপত্র সবসময় পাওয়া যায় না আবার খরচ তুলনামূলক অনেক বেশি।