
স্বপন কুমার নাথ,স্টাফ রিপোর্টার চট্টগ্রাম।
সনাতনী সম্প্রদায় প্রতি বৎসর চৈত্র মাসের মধূকৃষ্ণা তিথিতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মহাবারুনী স্নান বা গঙ্গা স্নান করে থাকেন। তাঁরা বিশ্বাস করেন এ তিথিতে, জোয়ার ভাটা হয় এই ধরনের নদীতে এই সময়ে শ্রাদ্ধ, তর্পন সহ স্নান করলে পাপ মোচন ও পূণ্যি অর্জন হয়। এ উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জের লাঙ্গল বন্ধ ঘাটে প্রতি বৎসর লক্ষাধিক ভক্ত সমাগম হয়।
তারই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড উপজেলার ০৪ নং মুরাদপুর ইউনিয়নের সন্দীপ ঘাটে ও প্রতি বছরের ন্যায় এ বছর হাজারো ভক্তের সমাগম হয়েছে। মুরাদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনাব এস এম রেজাউল করিম বাহারের পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজক কমিটি নদীর চরে স্নান ঘাটে দিন ব্যাপী শ্রীমদভগবদগীতা ও ভাগবত পাঠ দুপুরে মহা প্রসাদের আয়োজন করেছেন।
ফলে ভক্তরা পূণ্যি স্নান শেষে ভাগবত পাঠ শ্রবণ ও দুপুরে মহাপ্রসাদ গ্রহন করতে পেরে খুবই আনন্দিত ও মুগ্ধ হয়েছেন।আয়োজক কমিটির অন্যতম প্রতিনিধি বাবু শুলাল দাশ সুনিল বলেন, এটি একটি মহাতীর্থ। এখানে ভক্তরা যাহাতে স্বাচ্ছন্দ্যে বারুনী স্নানের মাধ্যমে পূণ্যি অর্জন করতে পারেন সে জন্য আমরা প্রতি বছর এই নদীর চরে একটি সু সজ্জিত প্যান্ডেল করে ভাগবত পাঠ, সুপেয় পানি ও মহা প্রসাদের ব্যবস্হা করে থাকি। এখানে ইউনিয়ন ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্হা ও নেয়া হয়েছে।ইউ, পি চেয়ারম্যান জনাব এস এম রেজাউল করিম বাহার বলেন, বারুনী স্নান উপলক্ষে এ ঘাটে উল্লেখিত সুবিধা সমূহের কারনে আগত ভক্তরা খুশী এবং প্রতি বছর ভক্ত সমাগম বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে আমরা ধারণা করছি।পূণ্যি স্নানে আগত ভক্ত গীতা জলদাস বলেন, আমি এ পর্যন্ত এখানে পরপর চার বছর আসছি।
এই অনুষ্ঠান আয়োজন কমিটিকে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি। কারন, সীতাকুন্ড বাজার থেকে প্রায় ৭/৮ কিঃ মিঃ দূরে, যোগাযোগ ব্যবস্হা তেমন ভালো নয়, নদীর চরে প্রায় ২ কিঃ মিঃ পর্যন্ত গাড়ি প্রবেশের কোন সুযোগ নেই। তাই কাঁধে ভারকরে অনুষ্টানের যাবতীয় জিনিসপত্র অনুষ্ঠান স্হলে নিয়ে আসা। সব মিলিয়ে সুপেয় পানি ও দুপুরের মহা প্রসাদ সহ এই ধরনের একটি আয়োজন অত্যন্ত কষ্টকর ও ব্যয় বহুল। তাই, কমিটির এত কষ্ট ও ত্যাগ স্বীকার করে এমন আয়োজনের জন্য এখানে ভক্ত সমাগম দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং তাঁদের কে আবার ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।