বাড়িরংপুর বিভাগনীলফামারী জেলাসৈয়দপুরে বিনামূল্যে চক্ষু শিবির-আয়োজনে ওব্যাট।

সৈয়দপুরে বিনামূল্যে চক্ষু শিবির-আয়োজনে ওব্যাট।

মো:ফায়সাল (সৈয়দপুর, নীলফামারী)শিহ্মানবীস প্রতিনিধি। 

আজ শনিবার সৈয়দপুর উপজেলায় “প্রান্তিক উন্নয়ন সোসাইটির’ আইসাইট প্রোগ্রামের ইনচার্জ মো:খুরশিদ আলম এর উদ্যোগে ওব্যাট ব্যাক টু স্কুল প্রাঙ্গনে দিনব্যাপী বিনামূল্যে চহ্মু শিবিরের আয়োজন করা হয়।কার্যক্রমটি পরিচালনা ও বাস্তবায়নে রয়েছে প্রান্তিক উন্নয়ন সোসাইটি এবং অর্থায়নে ওব্যাট কানাডা।

এ সময় ইনচার্জ খুরশিদ আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন প্রান্তিক উন্নয়ন সোসাইটির এলাকা সমন্বয়কারী জনাব মো: ইরফান আজম,ওব্যাট ব্যাক টু স্কুলের প্রধান শিহ্মক মোছা :তাবাসসুম আক্তার সহ প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ।

সকাল ৯.০০ টা হতে শুরু হওয়া এই অনুষ্ঠানে শহরের বিভিন্ন প্রান্ত হতে লোকজন জোড়ো হতে থাকেন।অতঃপর রংপুর কমিউনিটি চক্ষু হাসপাতলের চিকিৎসক চক্ষু বিশেষজ্ঞ মনিরুজ্জামান এর নেতৃত্বে সাত সদস্যের মেডিকেল টিম এই চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন। সকাল দশটা থেকে দিনব্যাপী রোগী দেখেন চিকিৎসকরা।

এতে বিনামূল্যে প্রায় দুই শতাধিক রোগীকে আজ চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। ১৮২ জন (পুরুষ ৬১ ও নারী ১২১) চক্ষু রোগী প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন। উক্ত চক্ষু শিবিরে ৫৫ জন ছানি রোগী শনাক্ত করা হয়।যার মধ্যে আজকে ৪৯ জন ( পুরুষ ১২ ও নারী ৩৭) ছানি রোগীকে চক্ষু ছানি অপারেশনের জন্য রংপুর কমিউনিটি আই হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

প্রকল্প ইনচার্জ মো:খুরশিদ আলম জানান প্রতিবছর সৈয়দপুর, বগুড়া, দিনাজপুর,রংপুরসহ বেশ কয়েকটি শহরে বছরব্যাপী এই কার্যক্রম চলমান থাকে।এবং প্রতিবছর গড়ে প্রায় তিন হাজার মানুষকে বিনামূল্যে চহ্মু সেবা প্রদান করে থাকে প্রতিষ্ঠানটি।

সেবা নিতে আসা এক বৃদ্ধ জানান গত বছরে এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি নিজের ও তার সহধর্মিণীর চহ্মু অপারেশন করান।পূর্বে তিনি চোখে দেখতে পারতেন না।এখানে সেবা নিয়ে সুস্থ আছেন এবং নিজে কর্ম করে সংসারের ব্যয়ভার বহন করতে পারছেন।যা অপারেশন এর পূর্বে সম্ভব ছিলো না।এমন অনেক লোক এই প্রতিষ্ঠানে সেবা নিয়ে সুস্থভাবে জীবিকা নির্বাহ করছেন।পেয়েছেন নতুন দৃষ্টিশক্তি যার ব্যয়ভার তাদের পহ্মে ছিলো প্রায় অসম্ভব।

উল্লেখ্য যে এই প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘ ১২ বছর যাবত গরীব ও অসহায় রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছে। এতে হতদরিদ্র রোগীসহ অনেকেই উপকৃত হয়েছেন। এছাড়াও প্রতিষ্ঠান ঝরেপড়া শিক্ষার্থীদের স্কুলমুখী করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। ওব্যাট হেল্থ ক্লিনিক নামক প্রকল্পের মাধ্যমে ও দৈনন্দিন রোগীদের সেবা প্রদান করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি।

 

 

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments