
পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইনের মামলায় আদালতে লিখিত জবাব দিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার আল আমিন হোসেন। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে এ জবাব দেওয়া হয়। ১২ অক্টোবর পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করেছেন আদালত। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী আতিকুর রহমান।
যৌতুকের জন্য মারধর করার অভিযোগ ও ভরণপোষণ চেয়ে গত ৭ সেপ্টেম্বর আল আমিনের বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলা করেন তাঁর স্ত্রী ইসরাত জাহান। পরে ২৭ সেপ্টেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পান ক্রিকেটার আল আমিন।
ইসরাত জাহানের আইনজীবী শামসুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘ক্রিকেটার আল আমিনের পক্ষে আদালতে লিখিত জবাব দাখিল করা হয়েছে। সেখানে আল আমিন দাবি করেছেন, স্ত্রীকে তিনি তালাক দিয়েছেন। তবে আমার মক্কেল তালাকের কোনো নোটিশ পাননি। এসব বিষয় আগামী ধার্য তারিখে বিস্তারিত শুনানি হবে।’ শামসুজ্জামান আরও জানান, ইসরাত আল আমিনের বাসাতে অবস্থান করছেন। তবে কোনো ভরণপোষণ পান না তিনি।
ইসরাত জাহান মামলায় দাবি করেন, আল আমিনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয় ২০১২ সালে। পরে তাঁদের দুটি সন্তান হয়। গত ২৫ আগস্ট আল আমিন স্ত্রী ইসরাতের কাছে ২০ লাখ টাকা যৌতুক চান। টাকা না দেওয়ায় পরে মারধর করেন আল আমিন বলে মামলায় অভিযোগ আনা হয়। পরে ইসরাত বাদী হয়ে ২ সেপ্টেম্বর মিরপুর মডেল থানায় পৃথক মামলা করেন।
পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইনের মামলার আরজিতে বলা হয়েছে, দুই সন্তানের খরচসহ প্রতি মাসে ৬০ হাজার টাকা ভরণপোষণ চেয়েছেন স্ত্রী ইসরাত জাহান।
ওই মামলায় গত ৬ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন আল আমিন। শুনানি নিয়ে উচ্চ আদালত আল আমিনের জামিন মঞ্জুর করেন।