
পাটগ্রাম(লালমনিরহাট)নিজস্ব প্রতিনিধি
গত ২০ জুলাই,২০২০ খ্রি. লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার স্ব-ঘোষিত মুক্তিযোদ্ধা গবেষক দাবিদার সায়েদুল ইসলাম মিঠু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পাটগ্রাম উপজেলার সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব, অত্র উপজেলা আওয়ামী লীগের র্দীঘ ২৮ বছরের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত আনোয়ারুল ইসলাম (নাজু স্যার) এর বিরুদ্ধে কটুক্তি ও মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করেন। তার প্রতিবাদে ঐ সময় উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। আমি বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত আনোয়ারুল ইসলাম এর পুত্র মোহাম্মাদ শোয়ায়েবুল ইসলাম ঐ সময়ে এই ঘটনার প্রতিবাদে পাটগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করি। পরবর্তীতে বাংলাদেশ পুলিশ এর সাইবার টিম দীর্ঘ প্রায় ২ (দুই) বছর তদন্ত শেষে ঘটনাটি সত্য বলে লিখিত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে এবং পাটগ্রাম থানায় রাষ্ট্রপক্ষ বাদী হয়ে সাইবার ট্রাইবুনাল (রংপুর) এ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ এর ২৫(২) ২৯ (১) ধারায় অভিযোগ গঠন করে একটি মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নম্বর- সিটি কেস ১৩০/২২। দীঘ প্রায় ২ (দুই) বছর ধরে মামলাটির সকল আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে বিজ্ঞ সাইবার ট্রাইবুনাল (রংপুর) গত ০৮/০৭/২০২৪ খ্রি. তারিখে রায় প্রদান করেন। উক্ত রায়ে বিজ্ঞ আদালত বলেন যে, আসামী সায়েদুল ইসলাম মিঠু (৬৭) পিতা-মৃত.তমিজ উদ্দিন আহমেদ সাং-রসুলগঞ্জ জুম্মাপাড়া ওয়ার্ড নং-৫, থানা-পাটগ্রাম, জেলা-লালমনিরহাট এর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ এর ২৫(২) এবং ২৯(১) ধারায় গঠিত অভিযোগ সন্দেহাতিত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামীকে দোষী সাব্যস্তক্রমে ২৫(২) এবং ২৯(১) ধারার প্রত্যেক ধারায় সাত দিন বিনাশ্রম কারাদন্ড ও এক হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে এক দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করা হলো। রায় ঘোষণার পর আসামী সায়েদুল ইসলাম মিঠুকে হাতকড়া পড়িয়ে জেলা হাজতে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে আসামী সায়েদুল ইসলাম মিঠু আদালতে ৪২৬ ধারায় ৫,০০০ (পাঁচ হাজার টাকা) বন্ড প্রদান করে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন এই শর্তে জামিন গ্রহণ করেন।
আমরা বাদী পক্ষ এই রায়ে সন্তুষ্ট নই এবং অতি শীঘ্রই উচ্চ আদালতে সাজা বৃদ্ধির জন্য আপিল করব। তারেই প্রতিবাদে ৯ ই জুলাই মঙ্গলবার পাটগ্রাম তাহেরা বিদ্যাপীঠ স্কুলে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ।