বাড়িএক্সক্লুসিভ নিউজহটলাইনে অভিযোগ, কমলগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে দুদকের অভিযান : অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে...

হটলাইনে অভিযোগ, কমলগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে দুদকের অভিযান : অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে দুদক

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে অভিযান চালিয়েছে বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে দুদকের হবিগঞ্জ সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো: সাইফুর রহমানের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। দুপুর দেড়টা থেকে বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত টানা ৩ ঘণ্টা অভিযান পরিচালনা করে দুদক টিম। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে কমলগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে অভিযান চালানোর কথা দুদক জানালেও কী অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়েছে তা পরিস্কার করেননি দুদকের এ কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সদর দপ্তরে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে পরবর্তীতে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে। তিন ঘণ্টাব্যাপী অভিযানকালে স্থানীয় কোনো সংবাদকর্মীকে সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে ঢুকতে দেয়নি অভিযানকারী দুদক দল। অভিযান শেষে কমলগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রার রহমত উল্লাহ লতিফ এর সঙ্গে সাংবাদিকরা কথা বললেও অভিযান বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। কথা বলেননি দলিল লেখক সমিতির নেতৃবৃন্দরাও।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল ১১টা দিকে সাদা পোশাকে দুদকের কর্মকর্তারা কমলগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে ঘুরাফেরা করেন। পরে দুপুর দেড়টার দিকে দুদকের অফিসিয়াল পোশাক পরিহিত অবস্থায় অফিসের ভিতরে প্রবেশ করেন। অভিযান চলাকালে প্রায় ৩ঘন্টা সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের মূল প্রবেশদ্বারের গেইট বন্ধ থাকায় চরম বিপাকে পড়েন দলিল দাতা ও গ্রহীতারা।

বুধবার দুপুরে দুদকের ফেইসবুক পেইজ থেকে জানা যায়, দুদক হটলাইন-১০৬ এ প্রাপ্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে সাব-রেজিস্ট্রার অফিস, কমলগঞ্জ, মৌলভীবাজারে ২১ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দুদক, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, হবিগঞ্জ হতে ৪ সদস্যের একটি টিম অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযান চলাকালে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করা হয় এবং উক্ত অফিসের কতিপয় নকল নবিশদের কাছে অব্যাখ্যায়িত নগদ অর্থ পাওয়া যায়। এছাড়া সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের প্রত্যেকের কক্ষ সিসি ক্যামেরার আওতাভুক্ত থাকলে ও অভিযোগ সংশ্লিষ্ট টিসি সিসি ক্যামেরার বাহিরে রয়েছে। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বিষয়াদির সত্যতার বিষয়টি অভিযান পরিচালনাকারী টিমের কাছে প্রাথমিকভাবে সত্য মর্মে প্রতীয়মান হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযান পরিচালনাকারী টিম শীঘ্রই বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করবেন বলে জানা যায়।

উল্লেখ্য, কমলগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের সাব-রেজিস্ট্রার রহমত উল্লাহ লতিফের প্রকাশ্যে ঘুষ বাণিজ্য, ক্রেতা বিক্রেতাদের হয়রানি, সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে দলিল রেজিস্ট্রার করা, জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়া, দলিল লেখকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারসহ তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments