হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে এক নারীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। ধর্ষণের প্রায় ১১ মাসের মাথায় ফুটফুটে এক পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন ওই নারী। তবে এখন যত আলোচনা ফুটফুটে ওই পুত্র সন্তানের বাবা হবে কে, কি হবে তার পিতৃ পরিচয় ? যদিও পুলিশ বলছে, এ ঘটনায় আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছে পুলিশ। পুলিশী তদন্ত ও মেডিকেল রিপোর্ট আদালতে যাওয়ার পর এ বিষয়টির একটি সুরাহা হতে পারে।
জানাযায়, উপজেলার ৪নং কাকাইলছেও ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড ঘরদাইর গ্রামের কাশেম মিয়ার জনৈক কন্যা (৩৫) এর তার স্বামীর সাথে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। আর এরপর থেকে সে পিত্রালয়ে বসবাস করে আসছিল।
এরই মাঝে ওই নারীর সাথে কৌশলে সম্পর্ক গড়ে তুলে প্রতিবেশী আইনাল হক মিয়ার ছেলে মকবুল মিয়া (২৬)। এক পর্যায়ে তারা গভীর প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। গত ২০২১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর মকবুল মিয়া তাকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ধর্ষণ করে।
পরে মকবুল মিয়া ওই নারীকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। এমতাবস্থায় স্থানীয় ভাবে বিষয়টি রফাদফা করার চেষ্টা করা হলেও তা ব্যর্থ হয়। পরে নিরুপায় ওই নারী আদালতের দারস্থ হন। চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল নিজেই বাদী হয়ে মকবুলকে একমাত্র আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে।
গত বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) নিজ বাড়িতে ফুটফুটে এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন ওই নারী। সন্তান জন্মদেয়ার পর থেকেই শুরু হয়েছে নানান আলোচনা ও সমালোচনা। কে হবে ওই নবজাতক সন্তানের পিতা এমন আলোচনা এখন সর্বত্র।
নারীর প্রতিবেশী মতলিব মিয়া জানান, ঘটনার পর থেকে বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করেছেন স্থানীয় মুরুব্বিয়ানরা। এক পর্যায়ে শালিস বৈঠকও হয়। বৈঠকে মকবুল ও ওই নারীকে বিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। শালিসে মকবুল সেটা মেনেও নিয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে সে তার সিদ্ধান্ত থেকে সরে যায়। কিন্তু ওই নারী বিয়ের দাবীতে অটল থাকায় এখন সে নবজাতকের মা হয়েছে। কিন্তু এখন প্রশ্ন হল ওই নবজাতকের পিতৃপরিচয় কি হবে ?
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আজমিরীগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আবু হানিফ জানান, ভোক্তভোগী নারী আদালতে মামলা করেছেন। আদালত মামলাটির পুলিশী তদন্ত প্রতিবেদন ও মেডিকেল রিপোর্ট দেয়ার জন্য আদেশ দিয়েছেন। কিন্তু এখন যেহেতু নারী বাচ্চা প্রসব করেছে সেহেতু ডিএনএ টেস্ট করাতে হবে। সকল প্রক্রিয়া শেষ করে প্রতিদেন আদালতে জমা দেয়া হবে।