লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ছাত্রলীগের সঙ্গে বিএনপির দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশের এক উপ-পরিদর্শকসহ ছাত্রলীগ ও বিএনপির ৬ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিয়ে হাতীবান্ধা তেল পাম্প এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হাতীবান্ধা উপজেলা বিএনপির দলীয় অফিস থেকে আলোচনা সভা শেষে নেতা-কর্মীদের নিয়ে মেডিক্যাল মোড় এলাকায় যাওয়ার চেষ্টা করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য ব্যারিস্টার হাসান রাজীব প্রধান। এ সময় তারা ছাত্রলীগের বাঁধার মুখে তিনি পিছু হটেন। পরে পিছন থেকে ছাত্রলীগ ধাওয়া করলে বিএনপির নেতা-কর্মীরা পিছু হটে টংভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ সড়কে অবস্থান করেন। সেখানেও বাঁধার মুখে বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য ব্যারিস্টার হাসান রাজীব প্রধান অনেকটা বাধ্য হয়ে ওই এলাকা ত্যাগ করেন। মুহূর্তের মধ্যে পুরো চিত্র পাল্টে যায়। যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল নেতা-কর্মীরা ঘুরে দাঁড়ায়। ফলে ছাত্রলীগের সাথে ফের সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এ সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ধাওয়া খেয়ে পিছু হটে। এতে হাতীবান্ধা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মহিদুল ইসলামসহ ছাত্রলীগ ও বিএনপির ৬ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে। এ ঘটনায় বিএনপি ও ছাত্রলীগ নেতারা একে অপরকে দায়ী করেছেন।
এ বিষয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার হাসান রাজিব প্রধান বলেন, আওয়ামী লীগের পায়ের তলায় মাটি নাই। তারা আমাদের সুসংগঠিত আন্দোলনকে ভয় পায়। এজন্য তারা গায়ে পরে বিবাদ করছে। আমাদের শান্তি পূর্ণ মিটিংয়ে হামলা চালায়। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
এ ব্যাপারে হাতীবান্ধা ওসি (তদন্ত) গুলফাম মণ্ডল বলেন, আমাদের একজন উপ-পরিদর্শক আহত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।