
নিজাম উদ্দিন হারুনঃ
অদ্য ১৩/০২/২০২৫ ইং তারিখ ১১:৩০ ঘটিকায় পিরোজপুর জেলা পুলিশের আইসিটি এন্ড মিডিয়া শাখা কর্তৃক উদ্দারকৃত হারিয়ে যাওয়া ৪০ টি মোবাইল ফোন, অনলাইন ট্রানজেকশনের ৯০,০০০ টাকা ও হ্যাকড হওয়া ৩ টি ফেইজবুক একাউন্ট উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের নিকট বুঝিয়ে দেয়া হয়। পিরোজপুর জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার খাঁন মুহাম্মদ আবু নাসের এর দিকনির্দেশনায় ও তত্ত্বাবধানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন্স) মোঃ মুকিত হাসান খাঁন এর তদারকীতে জেলার আইসিটি এন্ড মিডিয়া শাখার তৎপরতায় এই উদ্ধার কার্যক্রমগুলো পরিচালিত হয়। পিরোজপুর জেলার বিভিন্ন থানার হারানো মোবাইল, অনলাইন ট্রানজেকশন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হ্যাকড হওয়া সংক্রান্ত জিডিসমুহ পর্যালোচনা করে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা হতে ৪০টি হারানো বিভিন্ন ব্রান্ডের এনড্রয়েড মোবাইল ফোন ও অনলাইন ট্রানজেকশনের ৯০,০০০/- টাকা এবং হ্যাকড হওয়া ০৩টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুক একাউন্ট) উদ্ধার করা হয়েছে।বিদেশে থাকা স্বামীর ইমো হ্যাকড করে স্বামীর ইমো দিয়ে স্ত্রী আনজিরা বেগমের ইমোতে কল দিয়ে বিপদে পরার কথা বলে বিকাশে টাকা চাইলে স্ত্রী সরল বিশ্বাসে অনলাইন ট্রানজেকশনের মাধ্যমে টাকা পাঠিয়ে দেন। পরবর্তীতে স্বামীর সাথে কথা হলে জানতে পারেন তিনি ইমোর মাধ্যমে অনলাইন প্রতারনার শিকার হন। পরে পিরোজপুর সদর থানায় জিডি করলে পুলিশের তৎপরতায় কুষ্টিয়া থেকে তার ট্রানজেকশনের টাকগুলো উদ্ধার করা হয়। অনলাইনে টাকা পাঠাতে গিয়ে আবুল বাশার (৩১), পিতা-হাবিবুর রহমান, গ্রাম-মূলগ্রাম, থানা-পিরোজপুর সদর পিরোজপুরের ভুল নম্বরে চলে যাওয়া ২০,০০০ (বিশ হাজার টাকা) শেরপুর থেকে উদ্ধার করা হয়। এছাড়া সদর থানার জিডি মুলে-১৯টি, ইন্দুরকানী থানা ০৭-টি, ভান্ডারিয়া থানা-০৩ টি, মঠবাড়ীয়া থানা-০৮টি, নাজিরপুর থানা-০৩টি মোবাইল ও ৩ টি ফেইজবুক একাউন্ট পুনুরুদ্ধার করা হয়েছে। এ সংক্রান্তে পিরোজপুরে ১ টি মামলা ও ২ জন আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিলো।ভুক্তভোগীরা তাদের মোবাইল, অনলাইন ট্রানজেকশনের টাকা ও ফেইজবুক একাউন্ট ফেরত পেয়ে জেলা পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
উল্লেখ্য যে, পিরোজপুর জেলার পুলিশ সুপার খাঁন মুহাম্মদ আবু নাসের এর নির্দেশে পুলিশের আইসিটি এন্ড মিডিয়া শাখার এ এরকম উদ্ধারজনিত কার্যক্রম অব্যহত থাকবে। জেলা পুলিশ ইতোপূর্বেও এরকম উদ্ধারজনিত কাজ করে সবসময় জনগনের পাশে অবস্থান করছে।