
আল মামুন,কালীগঞ্জ,ঝিনাইদহ প্রতিনিধি।
আর মাত্র কয়কেদিন বাদেই পবিত্র ঈদুল ফিতর (রোজার ঈদ) । এই ঈদ কে সামনে রেখে ঝিনাইদহের হাট গুলোতে জমজমাট হয়ে উঠেছে পশুর হাট। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে উপজেলায় পশুর হাটগুলোতে বেচাবিক্রির পরিমাণ ততই বাড়ছে।
আজ শনিবার ৬ই এপ্রিল ২০২৪, ঝিনাইদহের সাপ্তাহিক বাজার ঘুরে দেখা যায়, কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজারে বিশাল জায়গা জুড়ে বসছে পশুর হাট। বারোবাজার মেইন বাস স্টান্ড থেকে একটু সামনে এসে তাহেরপুর সড়কে র পাশ জুড়ে বৈলাট দৌলতপুর স্থানে রয়েছে বারোবাজার পশুর হাট। এখানে ছোট বড় মাঝারি সব মানের গরুতে সয়লাব। আজ শনিবার এবং আগামি মঙ্গলবা ঈদ উপলক্ষে পশুর হাটের শেষ বাজার। তাই এদিন সকাল থেকেই ক্রেতা বিক্রেতায় মুখর পুরো বাজার জুড়ে। উপজেলার সবচেয়ে বড় হাট হবার দরুন আজ ঝিনাইদহ সহ বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবাসায়ীরা বাজারে গরু নিয়ে আসছেন বিক্রি করতে। দেশি গরুতে মোটাতাজকরণের কোন ধরণের ঔষধ প্রয়োগ করা হয়না বিধায় দেশি গরুর চাহিদা বেশি। সে কারণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ব্যাবসায়ীরা এখান থেকে গরু কিনতে আসে।
এদিকে বাজার ঘুরে আরো দেখা যায়, ২০/২৫ টি বড় জাতের গরু নির্দিষ্ট খুটিতে বাঁধা। কয়েক টি গরুর গলায় মালা পরানো। বার বার পানি দিয়ে গা ভিজিয়ে দিতে দেখা যায়। দর্শনার্থীর অনেকে ছবি তুলে তৃপ্তি মিটাচ্ছেন। এছাড়াও মাঝারী ও ছোট আকারের অনেক গরু বাজারে দেখা গেছে। অত্র উপজেলায় ছোট ছোট কয়েকটা খামার রয়েছে। এদের দাম আকার অনুযায়ী ৩লাখ থেকে শুর হয়ে মাঝারী আকারের গরুর দাম হাকা হচ্ছে ৯০ থেকে দেড় লাখ।
বাজারে ফ্রিজিয়ান জাতের একটিই বড় গরু দেখতে পাওয়া যায়। ঝিনাইদহ পবহাটীর বাসিন্দা বারেক মিয়ার নিজস্ব খামারে লালিত গরুটি বাজারে নিয়া আসছেন। গরুটি ২লাখ দাম হাকাচ্ছেন। ৩ লাখ হলে গরুটি বিক্রি করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
অপর দিকে অনেক বড় বড় খাসি ছাগল বাজারে দেখা যায়। সামর্থ্যবান অনেকে গরুর পাশাপাশি খাসি ও ক্রয় করছেন । বড় আকারের একটি খাসি ৪০ হাজার টাকা দাম হাকাচ্ছেন খাসির মালিক।
এদিকে অনেক বেপারী বাড়ি বাড়ি গিয়ে পশু ক্রয় করে থাকেন। একই সাথে এসব পশু বিভিন্ন হাটে বিক্রি করেন। তবে অনেকে বাড়তি আয় করার জন্য গরু মোটাতাজাকরণ ঔষধ ব্যাবহার করে থাকেন।
হাটে দেশীয় প্রজাতির গরু ও ছাগলের আধিক্য বেশী থাকায় সকলে এ দুই প্রজাতির পশু ক্রয় করতে আগ্রহী