
মোঃ রুবেল মিয়া, উপজেলা প্রতিনিধি মির্জাপুর টাঙ্গাইল।
টাঙ্গাইল মির্জাপুর আটিয়ামামুদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের করোনা পরবর্তী ২০২১সালে এসএসসি পরীক্ষার্থীর সরকারে ফেরতকৃত টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে, স্কুল কমিটি ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
করোনা পরবর্তী পরীক্ষা শর্ট করা হয়,তিনটি করে পরিক্ষা নেওয়া হয়,পরবর্তীতে তিনটি নির্ধারিত ফ্রি রেখে বাকি টাকা সকল স্কুলের ফিরত দেওয়া হয়।কিন্তু আটিয়ামামুদপুর উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষার্থীরা কেউ জানে না এ টাকা এসেছে।আটিয়ামামুদপুর স্কুলে পরীক্ষার্থী ছিল ১৫৪ জন এদের মধ্যে কেও টাকা পাননি।
এ ব্যাপারে আটিয়ামামুদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন টাকা আসছে কিনা আমার জানা নেই আমি একাউন্ট চেক করে জানাতে পারবো।
এলাকার সাধারণ মানুষের একটি প্রশ্ন তিন বছরে উনি একাউন্ট একবার চেক করেন নাই।নাকি উনি শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছেন।
২০২১ এর পরীক্ষার্থী আরাফাত,জুয়েল, আশিক,জেরিন,সিয়াম,ছোটন,রাহুল,ফারদিন সহ অনেক ছাত্রছাত্রী অভিযোগ করেন এই সরকার ফেরত কৃতটাকা ব্যাপারে আমাদের স্কুল কর্তৃপক্ষ কেউ জানায়নি।
আমরা কৃষকের সন্তান,কৃষি কাজ করে আমাদের জীবন নির্ভর করে,আমাদের এই পরিশ্রমের টাকা এভাবে আত্মসাৎ করে খাবে এটা ইস্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে আশা করি নাই। এই সবকিছুর জন্য নাটের গুরু প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি। এটার সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন,এসএসসি পরীক্ষার্থীদের সরকার ফেরত কৃতটাকা কেও মেরে খাওয়ার সুযোগ নেই।আমরা তদন্ত করে দেখব যদি কেউ অভিযুক্ত হয়ে থাকে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করিবো।
নাম পরিচয় অনিচ্ছুক এক ম্যানেজিং কমিটির সদস্য জানান স্কুল সম্বন্ধে অনেক অভিযোগ আছে।শুধু এই টাকা না লাইব্রেরী সংস্কারের জন্য যে টাকা আসে সেই টাকার এক টাকা কাজও করা হয় না।
আবার নতুন করে তিনটি শূন্য পদে একটি নিয়োগ দিয়েছে যেখানে বিদ্যালয় এর নামের বানান সহ ৭টি ভুল আমরা চাই ভুল সংশোধন করে নতুন করে নিয়োগ দেওয়া হোক।