গাজীপুর সদর উপজেলা ভবানীপুর ও গুচ্ছ গ্রাম এলাকায় আজ সকাল ১০টা থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হয়।উচ্ছেদ অভিযানে অংশগ্রহণ করে বন বিভাগ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পুলিশ,RAB, বিজিবি,বিদ্যুৎ বিভাগ।ম্যাজিস্টেটের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।এ ছাড়াও উপস্থিত ছিল ভিবিন্ন গণমাধ্যম। জানা যায়,আগস্টে শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগের পর বা ০৫ আগস্টের পর যারা বনভূমি দখন করে ঘর-বাড়ী তৈরি করেছিল ঐ সকল ঘর-বাড়ি ভেঙ্গে ফেলা হবে।কিন্তু সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ১০/২০/৩০ বছর বা তারও অধিক সময় ধরে থাকা ঘর-বাড়ি ভেঙে ফেলা হয়েছে।প্রত্যক্ষদর্শী মোঃ রমজান আল মাহমুদ( বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী) বলেন আমার জন্মের বহু বছর পূর্ব থেকে এসব জায়গায় বসবাস করে আসছে আমার পরিবার কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে গড়ে তুলা ঘর-বাড়ি ভাঙ্গা বা উচ্ছেদ অভিযান এর নামে সকল অসহায় ভুমিহীন মানুষদের তারা নৃশ্য ও পথের ফকির করে দিয়েছে।তিনি আরও বলেন এ দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ পাহাড় ধ্বংস করে প্রায় ১৫ লক্ষ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এ দেশে বসবাস করছে খুবই সুখে-শান্তিতে আছে অথচ এ দেশের নাগরিক হয়ে আজ উচ্ছেদ অভিযান এর নামে মাথা গুছানোর জায়গাটুকু তারা আজ ভেঙে ফেলল।আরেকজন প্রত্যক্ষদর্শী মোঃ মুস্তাকিম (এতিম,তার মা-বাবা নাই) জানায় নিজের অর্জিত যত সঞ্চয় ছিল ঐ টাকা ও কিছু টাকা কিস্তি থেকে নিয়ে একটা ঘর করি থাকার জন্য কিন্তু তারা আমার সব স্বপ্ন ভেঙে দিল।আরেকজন ভুক্তভোগী মোঃ ইসমাইল হোসেন নীরব বলেন এ দেশে মায়ানমার থেকে প্রায় ১৫ লক্ষের অধিক রোহিঙ্গা যদি বসবাস করে পারে তাহলে আমরা কেন পারব না?আমরা কি এ দেশের সাধারণ নাগরিক না?যদি নাগরিক হয়ে থাকি তাহলে মৌলিক অধিকারের একটি বাসস্থান, এটি কে দিবে?
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় সাম্প্রতিক সময়ে গড়ে তুলা ঘর-বাড়ি এর সাথে সকল ঘর-বাড়ি ভেঙে ফেলা হয়েছে। এতে এ এলাকার মানুষের মধ্যে খাদ্য, বস্তু, বাসস্থান এর তিব্র সংকট বা বিপর্ষয় দেখা দিয়েছে।বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার ফলে পানির হাহাকার ও অন্যান্য সংকট তিব্র হচ্ছে। এলাকার মধ্যে একটি মাত্র টিউবওয়েল থাকায় সকলেই এখানে পানির জন্য ভির করছে।
এলাকার কৃতি সন্তান ও মুক্তিযোদ্বার নাতী মোঃ মিলন মিয়া ( বিশিষ্ট ব্যবসায়ি ও সমাজসেবক) জানান আজকে যারা অবহেলিত নিপীড়িত,ক্ষতিগ্রস্ত যারা হয়েছে তারা তো এ দেশের সু- নাগরিক। তারা আজ কেন বাসস্থানহীন/ভূমিহীন। তারা কি ঘর-বাড়ি করে থাকার অধিকার রাখে না প্রশ্ন কতৃপক্ষের কাছে।এসকল ভুমিহীন অসহায় মানুষদের পাশে বন বিভাগ ও কতৃপক্ষকে পাশে দাঁড়ানো অনুরোধ করেন তিনি।বন বিভাগ সুত্রে জানা গেছে তাদের এ অভিযান চলমান থাকবে।