
মোসা : মারিয়া ইসলাম, সোনারগাঁও নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সোনারগাঁও উপজেলা কৃষকলীগ, কৃষক হত্যা দিবস পালন করলো। এ উপলক্ষে,
১৫ মার্চ শুক্রবার দুপুরে সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী আওয়ামী লীগের চৌরাস্তা প্রধান কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
কৃষক লীগের সোনারগাঁও শাখার সদস্য সচিব নাজমুল হাসানের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন সোনারগাঁও উপজেলা শাখার আহবায়ক শেখ মোহাম্মদ আলমগীর
এতে বক্তৃতা করেন যুগ্ম আহবায়ক কাজী বাবুল, গাজী মুজিবুর রহমান, তাজউদ্দীন আহমদ, মহিলা যুগ্ম আহবায়ক তাসলিমা জাহান পপি, শাহাজাদী ইসলাম সুমি, আবু বক্কর জুম্মন, আলতাব হোসেন, সুজন আহমেদ
উল্লেখ্য, ১৯৯৫ সালে তৎকালীন বিএনপি সরকার আমলে সারের দাবিতে আন্দোলন করতে থাকায় ১৮ জন কৃষককে গুলি করে হত্যা করা হয়।
পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিতকরণ এবং কৃষিকে লাভের জন্য সরকার কাজ করছে জানিয়ে শেখ মোহাম্মদ আলমগীর বলেন‘বর্তমান সরকার কৃষি উন্নয়নে নানা ধরনের কৃষিবান্ধব নীতি ও বাস্তবমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করেছে।
এর ফলে কৃষি উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইতোমধ্যে সবার জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে। এখন লক্ষ্য হলো পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিতকরণ এবং কৃষিকে লাভবান করা।
তিনি আরো বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষকদেরকে ভালোবাসেন। তিনি শিশুকাল থেকেই কৃষকদের দুঃখ-দুর্দশা দেখেছেন।
তাই, তার নেতৃত্বে এ সরকার কৃষকদের সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে কৃষি পুনর্বাসন ও কৃষি প্রণোদনা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এ কার্যক্রমের আওতায় বিনামূল্যে বিভিন্ন ফসলের বীজ ও রাসায়নিক সার সহায়তা দেয়া হচ্ছে। তা ছাড়া সরকার সারে ভর্তুকি দিচ্ছে।
সমপ্রতি ডাই অ্যামোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) সারের দাম প্রতি কেজিতে ৯ টাকা করে কমিয়ে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য প্রতি কেজি ২৫ টাকা থেকে ১৬ টাকা করা হয়েছে।
ফলে কোনো কৃষককে সারের জন্য আন্দোলন করতে হয় না। সারের জন্য জীবন দিতে হয় না। অথচ, বিএনপি সরকারের সময় এই সারের জন্য কৃষকদের আন্দোলন করতে হয়েছে; জীবন দিতে হয়েছে।
বিএনপি সরকার সারের দাবিতে আন্দোলনরত কৃষক জনতার ওপর নির্বিচারে গুলি করে ১৮ জন কৃষক জনতাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়া শুধু কৃষকের রক্ত নয়, শ্রমিক, ছাত্রের রক্ত নিয়েছে। ইতিহাস তার বিচার করতে ভুল করে না।
আজকে খালেদা জিয়া শুধু দণ্ডিত আসামি নন, তিনি এতিমের অর্থ আত্মসাতের দায়ে দণ্ডিত হয়েছেন, কারাগারে আছেন। এটাই হলো পাপের শাস্তি। তার (খালেদা জিয়ার) ছেলে তারেক রহমান মানি লন্ডারিংয়ে অর্থপাচারের অপরাধে কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন।
আজকে তারেকের পরিণতি কী? তারেক জিয়া বাংলার মাটিতে আসতে পারে না। বাংলাদেশে কোনো দিনই তারেক জিয়া আর ফিরে আসতে পারবে না। বিএনপি নামক এই দল, যে দল ১৮ জন কৃষকের জীবন নিয়েছে তারা আর কোনোদিনই ক্ষমতায় আসতে পারবে না।’
কৃষক লীগের আহবায়ক শেখ মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, ‘কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে। বর্তমান সরকার কৃষিবান্ধব সরকার।
সে কারণেই কৃষককে সারের জন্য গুলি খেতে হয় না। কৃষক পণ্য উৎপাদন করে বলেই আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি। মাছ চাষে বিশ্বে চতুর্থ স্থান অর্জন করেছি।