
অরবিন্দ রায়, স্টাফ রিপোর্টারঃ
রঘুনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিলা বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্তদের দ্বিতীয় দফায় শনিবার বিকেলে চেক ও টিন বিতরন করা হয়েছে।
বোয়ালী ইউনিয়নে শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ৩ হাজার ৩ জন আবেদন করেছিলেন। প্রথম দফায় ৫ শত জন কে চেক ও টিন বিতরন করা হয়েছে। আজ শনিবার ৩ শত ৭৫ জন ক্ষতি গ্রস্হ পরিবারের মধ্যে চেক ও টিন বিতরন করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাউছার আহাম্মেদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজ্জামেল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মো. কামাল উদ্দিন সিকদার, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুরাদ কবির।
এ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন বোয়ালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন খান, বোয়ালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
চেক ও টিন বিতরনের স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজ্জামেল হক স্পষ্ট ভাবে বলেন আমরা ক্ষতিগ্রস্হ পরিবারের মধ্যে সুষ্ঠু ভাবে চেক ও টিন বিতরনের জন্য কমিটি গঠন করে দিয়েছি। কমিটির মধ্যে ছিলেন স্হানীয় মেম্বার, ওয়ার্ড়ের আওয়ামীলীগের নেতা, শিক্ষক, ও মসজিদের ইমামসহ সরকারি প্রতিনিধি । অভিযোগ থাকলে আবার তদন্ত কমিটি করে দিব। কেউ যদি স্বজনপ্রীতি করেন কিংবা গ্রতিগ্রস্হ ব্যক্তির নাম বাদ দিয়ে থাকেন তাদের বিরুদ্ধে আইন গত ব্যবস্হা গ্রহন করব।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার, শেখ হাসিনার সরকার কখনো অন্যায়ের সাথে আপোষ করেন না। আওয়ামীলীগ সরকার দেশের যে উন্নয়ন কাজ করেছেন বিগত দিনে কোন সরকার ই আওয়ামীলীগ সরকারের মত এত উন্নয়ন করেনি।
আওয়ামীলীগ সরকার শিক্ষা বান্ধব সরকার। শিক্ষা ক্ষেএে উন্নয়নের জন্য আওয়ামীলীগ সরকার কাজ করে যাচ্ছেন। আজ দুঃখজনক ভাবে বলতে হচ্ছে। যাদের স্কুল মাঠে অনুষ্ঠান হচ্ছে সেই রঘুনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের
কোন শিক্ষক উপস্থিত নাই । একজন স্কুল পরিচালনা পরিষদের সদ্যস্য উপস্থিত থাকলে ও তিনি স্কুলের শিক্ষার্থীর সংখ্যা, শিক্ষকের সংখ্য বলতে পারেনি। এটা খুবই দুঃখজনক। মন্ত্রী স্হানীয় চেয়ারম্যান, স্হানীয় মেম্বারসহ আওয়ামীলীগের স্হানীয় নেতা নেতৃবৃন্দকে শিক্ষা ব্যবস্হার দিকে নজর দিতে বলেন।
স্হানীয় কয়েকজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, অনুষ্ঠানে কথা আমাদের জানানো হয়নি। কেউ বলছেন আজ শনিবার সকাল ১০ টায় আমাকে ফোন করে জানানো হয়েছে।
গোলয়া গ্রামের মৃত সতিশ চন্দ্র রায়ের ছেলে ভজন চন্দ্র রায় বলেন, চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন খানের জন্য আমি ও আমার মত অনেকই গ্রতিগ্রস্হ হবার পরও চেক ও টিন পাইনি। চেয়ারম্যানের কাছে কয়েক বার যোগাযোগ করেছি তিনি লিষ্টটা জমা দিয়ে দিয়েছি বলে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়েছেন। চেয়ারম্যানকে আমরা নির্বাচনে ভোট দেই নি
ধারনা করে আমাদের সকল প্রকার সুযোগ থেকে বাদ দিয়েছেন।
রবীন্দ্রনাথ মালো জানান, আমরা টিন পেয়েছি কিন্তু কোন নগদ টাকা, চেক পাইনি।
ইউনিয়ন সচিব, মোহাম্মদ তানভীর আহমেদ স্বাক্ষরিত একটি টুকেন পেয়েছি।
চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন জানান, ক্ষতিগ্রস্হদের তালিকা তৈরিতে আমার কোন হাত নেই। সরকারি প্রতিনিধিরা তালিকা তৈরি করেছেন। আমি একজন কমিটির সদস্য মাএ। কোন প্রকার স্বজন প্রীতি, দুর্নীতির কোন প্রশ্নই আসে না। সকল স্হানীয় নেতা কর্মীরা মন্ত্রী মহোদয় আসার খবর জানেন । আমাকে সাধারণ জনগন মন থেকে ভালোবাসেন। অনেকেই হিংসার কারনে আমার নামে গুজব ছড়ানো চেষ্টা করেছেন । কিন্তু সত্য সব সময় সত্যই থাকবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কখনো গুজবে কান দেন না।