
স্বপন সরকার, কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় ঈদকে সামনে রেখে কাপড় সেলাইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে দর্জিরা।
সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পোশাক তৈরির কারখানায় চলছে কারিগরদের কাজ।
শনিবার (৬ ই এপ্রিল) সকালে উপজেলার বিভিন্ন দর্জি দোকানে ঘুরে দেখা যায় পবিত্র ঈদ উল ফিতরকে সামনে রেখে কাপড় চোপড় বানাতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে দর্জিরা ও কাপড় বেচা কিনায় ব্যস্ত দোকানদারা।
দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর এই ঈদ মানে আনন্দ ঈদ মানে খুশি, আর মাত্র কয়েক দিন পরে ঈদে নতুন পোশাক হবেনা তা কি করে হয়,
নিজস্ব ডিজাইন ও পছন্দের কাপড়ে তৈরি পোশাক পড়তে পছন্দ করেন অনেকে। তাই ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে দর্জির দোকানে।
ঈদের আগেই ক্রেতাদের হাতে পোশাক তুলে দিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। কেউ ব্যস্ত ক্রেতাদের কাছ থেকে কাপড় বুঝে নিয়ে পোশাকের মাপ ও ডিজাইন জানতে। পাশেই কেউ আবার ব্যস্ত ডিজাইন অনুযায়ী কাপড় কাটায়।
রমজান মাসের শুরু হতেই গ্রামে গঞ্জে শহরে দর্জির দোকানগুলোতে অলস সময় কাটানোর ফুসরত নেই। এসব দোকানে ব্যস্ততা দেখে বোঝা যায় বাজারে তৈরি পোশাকের দোকান বাড়লেও কমেনি দর্জির কদর। ক্রেতারাও বলছেন পছন্দমত কাপড় কিনে মাপসই পোশাক বানাতেই এসব কারিগরের দ্বারস্থ হওয়া।
আজিম, সফিকুল,মাসুম ক্রেতারা জানান, পোশাকের ফিটিংয়ের জন্য এখানে আসা হয়। আমি রেডিমেড পোশাক ক্রয় করলেও আমাকে ফিটিংয়ের জন্য দর্জির কাছে আসা লাগে। যেকোনো ডিজাইন দিলে সেই অনুযায়ী দিতে পারে। এই জন্য আমি সেলাই করা জামা বেশি পড়ি।
কালিয়াকৈর বাজারের সিয়াম টেইলার্সের মালিক ছানোয়ার হোসেন জানান আর মাত্র কয়েক দিন তাই ঈদে ক্রেতাদের পছন্দের পোশাক তৈরিতে ভিড় জমাচ্ছে আমার এখানে, কিন্তু লোডশেডিং এর কারণে ঠিকমত কারিগররা কাজ করতে পারছে না। অর্ডার নিতে পারছি না।
হাফিজ উদ্দিন দর্জি জানান মেয়েদের সালোয়ার কামিজ, ছেলেদের প্যান্ট শাট পাঞ্জাবি ইত্যাদি তৈরি করে থাকি। প্রতি শাট প্যান্ট সেলাইয়ে ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা মুজুরি নেয়।
দর্জি বিউটি জানান ঈদকে সামনে রেখে দিনরাত কাজ করতে হচ্ছে বিশ্রামের ফুরসত টুকুও হয়না।
কাপড় সেলাই করতে আসা শাকিল ও নাহিদ, একলাস উদ্দিন জানায় আমি একটা প্যান্ট ও শাট সেলাই করব ছেলের জন্য এখানে মোটামুটি সেলাইয়ের দাম কমই। তাই দর্জি রাও ব্যাস্ত সময় পার করছে।
বাবুল হোসেন টেইলার্স ( দর্জি) ঈদের আর মাএ কয়েকদিন প্রচুর অর্ডার পরছে জামা কাপড় তৈরি করতে, এখন আর আমরা নতুন করে অর্ডার নিতে পারছি না।
আশরাফুল ইসলাম জানান উপজেলায় পাঁচশতরো উপরে দর্জির ট্রেইলার্স আছে সবাই কাপড় সেলাইয়ে কর্মব্যস্ত সময় পার করছে এই ঈদকে সামনে রেখে।