
সাজেদুল ইসলাম রাসেল, (বগুড়া সদর) নিজস্ব প্রতিনিধি।
বগুড়ায় স্কুল ছাত্র হত্যা মামলার তিন আসামি গ্রেফতার।
বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি থানাধীন ফুলবাড়ী পশ্চিমপাড়া গ্রামের মোঃ ওয়েজেল মন্ডল (৪২) এই মর্মে বগুড়া সারিয়াকান্দি খানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন যে, তার ছেলে নাসিরুল ইসলাম নাসিম (১৫) ফুলবাড়ী গমির উদ্দিন বহুমুখী স্কুল এন্ড কলেজে ৮ম শ্রেণীতে লেখাপড়া করত। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ইং তারিখ রাত্রি অনুমান ০৮.১০ ঘটিকায় তার ছেলে এশার নামাজ আদায়ের জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। রাত্রি অতিবাহিত হলেও আর বাড়িতে ফিরে আসেনা। অনেক খোঁজাখুজির পর না পেয়ে সারিয়াকান্দি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। গত ০৩ মার্চ ২০২৪ ইং তারিখ ভিকটিমের বাবার ফোনে ভিকটিমের নাম্বার হতে ফোন করে ৮০,০০০/- (আশি হাজার) টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। মুক্তিপণ না দিলে ভিকটিমকে হত্যা করিবে এবং ইট ভাটায় পুড়াবে পরবর্তীতে উক্ত নাম্বারে ২০,০০০/- (বিশ হাজার) টাকা বিকাশ করা হয়। পুলিশ ঐ বিকাশ নাম্বারের সূত্র ধরে মুক্তিপণের টাকা গ্রহণকারী দুইজনকে আটক করে গত ০৪ মার্চ ২০১৪ ইং তারিখ রাত্রি অনুমান ১০,০০ ঘটিকায় গাবতলী থানাধীন নেগালতলী ইউপির ঈশ্বরপুর গ্রামস্থ একটি বসতবাড়ীর হাঁস-মুরগি রাখার ঘরের মধ্যে মাটির নিচে হাত পা বাধা অবস্থায় প্লাষ্টিকের বস্তার ভিকটিমের মৃত দেহ উদ্ধার করে। যার প্রেক্ষিতে সারিয়াকান্দি ধানার মামলা নং-০৩, তারিখ সাদের নারী ও শিশু নির্জাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩,৪ৎসহ ৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয়। এ ধরনের নৃশংস ও বর্বরোচিত হত্যাকান্ডটি বগুড়া জেলাসহ সারা দেশে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে
আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করতে র্যাব-১২, সিপিএসসি, বগুড়া ক্যাম্প গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে।
এরই ধারাবাহিকতায় ০৮ এপ্রিল ২০২৪ ইং তারিখ ২১.৪৫ ঘটিকায় এবং র্যাব-১২, সিপিএসসি, বগুড়া ও র্যাব-১১, সিপিসি- ১. নারায়নগঞ্জ এর যৌথ অভিযানে নারায়নগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানাধীন কাশীপুর এলাকা থেকে এজাহার নামীয় ৩নং আসামী মোয় রফিকুল ইসলাম (৪৫), পিতা- মোঃ আব্দুস ছামাদ, এজাহার নামীয় ৪নং আসামী মোছাঃ ইলেজা বেগম (৪৫) এবং তদন্তেগ্রাপ্ত আসামী মোঃ রিফাত (১৮+), সর্বসায়- ইশ্বরপুর, থানা- গাবতলী, জেলা- বগুড়াগণকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীগণের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি থানায় সোপর্দ করা হয়।