
নুরুল কবির,সাতকানিয়া(চট্রগ্রাম)নিজস্ব প্রতিনিধি।
চট্টগ্রামে বহুল আলোচিত সমালোচিত কর্ণফুলী নদীর উপর ব্রিটিশ আমলে নির্মিত শত বছরের পুরাতন এবং মেয়াধোত্তীর্ণ চট্টগ্রাম শহরের সাথে দক্ষিণ চট্টগ্রাম কক্সবাজার সহ এলাকার এক সময়ের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম কালুরঘাট সেতুতে এখন চলছে সড়ক তৈরির কাজ।
ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে কংক্রিট দিয়ে প্রথম ঢালাই। ওয়াকওয়ে ও কার্পেটিংয়ের কাজও প্রায় শেষ। শুরু হয়েছে দ্বিতীয় ঢালাইয়ের কাজ। দ্বিতীয় ঢালাই শেষ করতে লাগবে প্রায় এক মাস। এ কাজ শেষ হলে আশা করা যাচ্ছে যে মে মাসেই কালুরঘাট সেতু দিয়ে চলাচল করবে যানবাহন।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল সূত্রে জানা যায়, কালুরঘাট সেতুটি সংস্কারের জন্য গত বছরের ১ আগস্ট থেকে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে সেতুর রেলপথ সংস্কারের পর ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ট্রেন চলাচল করছে। কয়েকটি ধাপে চলছে সংস্কার। এর মধ্যে সেতু দিয়ে পথচারী পারাপারের জন্য নতুন করে নির্মাণ হচ্ছে ওয়াকওয়ে। বর্তমানে ওয়াকওয়ের ৮০ শতাংশ কাজ শেষ। এটি নির্মাণের ফলে পথচারীদের সেতুর মূল সড়কে আসতে হবে না। অন্যদিকে সেতুর মাঝে রেলট্র্যাক থাকায় কার্পেটিং সহজেই উঠে যেত এবং রেলট্র্যাকের অভ্যন্তরে পানি জমে পাতের ক্ষতি করত। এবার বিদ্যমান পাটাতনের ওপর বিশেষ প্রযুক্তির কংক্রিটের ঢালাই দিয়ে পানি নিষ্কাশনের পথ রাখা হচ্ছে। এরই মধ্যে সেতুতে বিশেষ প্রযুক্তির ঢালাই দিয়ে কার্পেটিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে। এরপর ওই কংক্রিট ঢালাইয়ের ওপর পিচ দিয়ে সড়কপথ নির্মাণ করা হবে। তখন যান চলাচলের উপযুক্ত হবে। কালুরঘাট সেতুর ফোকালপারসন প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘বর্তমানে সেতুর সংস্কার দ্রুতগতিতে চলছে, চেষ্টা চলছে এমাসের মধ্যে কাজ শেষ করতে। কাজটি বুয়েটের বিশেষজ্ঞ টিমের নির্দেশনা অনুয়ায়ী চলছে।
আমাদের চেষ্টা হলো দ্রুত কাজ শেষ করে যানবাহন চলাচলের জন্য সেতুটি উন্মুক্ত করে দেওয়া। এতে মানুষের যোগাযোগ সহজ হবে।