বাড়িবাংলাদেশেচট্টগ্রাম বিভাগএক জন কর্মঠ ও শিক্ষা বান্ধব প্রধান শিক্ষক সাবিনা ইয়াছমিন ষড়যন্ত্রের...

এক জন কর্মঠ ও শিক্ষা বান্ধব প্রধান শিক্ষক সাবিনা ইয়াছমিন ষড়যন্ত্রের শিকার।

বিশেষ প্রতিনিধি,লামা, বান্দরবান।

বান্দরবানের লামা উপজেলার চাম্বি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় একটি ঐতিহ্যবাহী ও স্বনামধন্য বিদ্যাপীঠ। অসংখ্য মেধাবী শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত ও গর্বিত এই বিদ্যাপীঠ। ২০০৭ ইং সালে এই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন অত্র এলাকার প্রথম মহিলা গ্র্যাজুয়েট জনাব সাবিনা ইয়াছমীন।

উল্লেখ্য তিনি ২০০৬ ইং সালে বান্দরবান জেলার শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষিকা নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরবর্তীতে তিনি যথাক্রমে ২০০৯ই্ং, ২০১২ইং, ২০১৭ইং ও ২০২৩ ইং সালেও বান্দরবান জেলার শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে নির্বাচিত হন। এরই স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৫ ইং সালে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য তাকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।

এ ছাড়াও তিনি জেলার শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষিকা নির্বাচিত হওয়ার কারণে ২০১৯ ইং সালে বাংলাদেশ সরকারের তত্ত্বাবধানে ফিলিপাইন সফর করেন এবং সেখানে University of Philippines হতে তাকে সনদ পত্র প্রদান করা হয়। এভাবে তিনি আরো অনেক সম্মানে ভূষিত হন। উল্লেখ্য যে, এই বিদ্যালয়টি ২০০৯ইং, ২০১২ই্ং ও ২০১৫ ইং সালে বান্দরবান জেলার শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় হওয়ার গৌরব অর্জন করে।

এই অর্জন কিন্তু এক দিনে আসেনি। বিদ্যালয়ের প্রতি তার একাগ্রতা, অপরিসীম ভালোবাসা, নিয়মানুবর্তিতা ও সময়ানুবর্তিতার কারণে এসেছে। যিনি তার নিজের পরিবারের চেয়ে বিদ্যালয়কে বেশি সময় দিয়েছেন। এসব অর্জন এখন যেনো তার জন্য যন্ত্রনার হয়ে পড়েছে কারন এসব অর্জনে একটি বিশেষ মহল প্রতিহিংসা বশীভূত হয়ে তার সুনাম ক্ষুন্নের জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। ফলশ্রুতিতে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ পোস্ট দেওয়া শুরু করে। যার ফলে তিনি সহ বিদ্যালয়টিরও যথেষ্ট মানহানি হচ্ছে।

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক সাবিনা ইয়াছমিন বলেন ‘আমি এই ধরনের কুরুচি পূর্ণ পোস্টের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন করছি। আমি এই বিদ্যালয়টি কে আমার সন্তানের মত ভালবাসি, এই বিদ্যালয়ের প্রত্যেক শিক্ষার্থী আমার সন্তান তুল্য, আমি তাদের নিজ সন্তানের মত করে আদর স্নেহ ভালবাসা দিয়ে গড়ে তোলার চেস্টা করেছি এবং করে যাচ্ছি, তারা যেনো প্রকৃত মানুষ হয়ে গড়ে উঠে সেটাই আমার সাধনা অথচ সেই আমি আজ ষড়যন্ত্রের শিকার, এটা আমার জন্য বড় কষ্টের, বড় যন্ত্রনার। আমি ২০০৬ ইং সিপাহি আব্দুর রাজ্জাক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক এর দ্বায়িত্ব পালন করেছি, আপনাারা একটু দয়া করে খোজ নিয়ে দেখুন, আমি কতটা কষ্ট করে দূর্গম এই বিদ্যালয়ে কাজ করেছি, যখন রাস্তা ঘাট ছিলো খুব খারাব, হেটে হেটে গিয়েছি। সেখানকার অবিভাবক, ছাত্র ছাত্রী কতটা ভালবাসে আমাকে।

সবার মনে রাখা উচিৎ দিন শেষে বিদ্যালয়টি আপনার আমার ও আমাদের সবার। তারপরও যদি কারো কোনো অভিযোগ থেকে থাকে তাহলে বিদ্যালয়ে এসে আলোচনা করে জেনে বুঝে পোস্ট করার জন্য বিনীত অনুরোধ করছি’।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments