
মোঃ লাল মিয়া (জাহিদ), নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি:
নীলফামারী বিভিন্ন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ইরি ধান কাটাও শুকানো কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। জৈষ্ঠ্য মাসের প্রচন্ড গরম উপেক্ষা করে ভোরে কাস্তে হাতে মাঠে নেমে পড়ছেন কৃষকরা।
এ বছর জলঢাকায় মানসম্পন্ন ইরি ধানের চারা উৎপাদনের লক্ষ্যে কাজ করছেন তারা। যার ফলে ইরি মৌসুমে ধানের ভালো ফলন ও বেশি উৎপাদনে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করেছে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা। তবে কৃষক চিন্তিত- যেকোনো মুহূর্তে কালবৈশাখী ঝড় প্রচন্ড তাপমাত্রায় ইরি ধানের সম্ভাবনা হওয়ায় ও কৃষি উপকরণের মূল্যবৃদ্ধির কারণ নিয়ে।
সরেজমিনে নীলফামারীর জলঢাকায় বালাগ্রাম, গোল মুন্ডা, কৈমারী, শোলমারি, আনসারহাট, নবাবগঞ্জ মিরগঞ্জ, শিমুলবাড়ি, ধর্মপাল, খুটামারা ও পৌর শহর ঘুরে দেখা গেছে, কৃষি শ্রমিকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন, জমি প্রস্তুত করতে এখন ব্যস্ত তারা।
জানা গেছে, বর্তমান আবহাওয়া ইরি- ধানের উপযোগী আবহাওয়া হওয়ায় উপযোগী থাকায় নীলফামারীর সব উপজেলায় ও জলঢাকার কৃষি কর্মকর্তা “দৈনিক প্রথম বাংলা” কে বলেন, চলতি মৌসুমে জলঢাকায় ১লক্ষ ৬০ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে ইরি ধানের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে ইরি-বোরো চাষিদের উদ্বুদ্ধকরণ,পরামর্শ,মাঠ দিবস,উঠান বৈঠক,নতুন নতুন জাতের বীজ সরবরাহ ও প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। পুরো ইরি আবাদ মৌসুমে অনুকূল আবহাওয়া বজায় থাকলে ও কীটপতঙ্গ এবং রোগ-বালাইয়ের আক্রমণসহ কোনো রকম প্রাকৃতিক বিপর্যয় না দেখা দিলে এবার জলঢাকায় ইরি-বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।