বাড়িবাংলাদেশেরংপুর বিভাগলালমনিরহট পাটগ্রামে প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের নিম্নমানের হাঁস-মুরগির ঘর বিতরণ করার প্রস্তুতি চলছে

লালমনিরহট পাটগ্রামে প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের নিম্নমানের হাঁস-মুরগির ঘর বিতরণ করার প্রস্তুতি চলছে

রুমন হোসেন জিলহজ্ব, লালমনিরহাট জেলা বিশেষ প্রতিনিধি।

পাটগ্রামের প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে নিম্নমানের মুরগির ঘর বিতরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস চত্ত্বরে ইতোমধ্যে ৫৫ টি মুরগির ঘর ও ৩ টি হাঁসের ঘর উপকারভোগীদের দেওয়ার জন্য নিম্নমানের সরঞ্জাম দিয়ে তৈরি করার বিষয়টি দেখতে পাওয়া যায়।

বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের সীমান্তবর্তী সুবিধা বঞ্চিত ৮৬টি এলাকা ও নদী বিধৌত চরাঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় পাটগ্রাম উপজেলাধীন ৫৫টি মুরগী ও ৩টি হাঁসের ঘর বিতরণ করা হবে বলে সিদ্ধান্ত হলে সরেজমিনে গিয়ে অসংখ্য অনিয়ম দেখা যায়।

স্টিমেট অনুসারে টিন ২৬ (এম এম) হওয়ার কথা কিন্তু জালালাবাদের ৩০ অথাৎ যার মান ১৩ (এম এম)। এছাড়া কাঠ কমপক্ষে ৫০ ভাগ ষার ও মেহগনি, রেইনটি,গর্জন, শিল কড়ই বা চাম্বল দেওয়ার কথা থাকলেও নিম্নমানের অষার কাঠ দেওয়া হয়। আরও অনেক অসংগতি থাকলেও রোববার ইউনিয়ন এলএফএফ দের সাথে বিকেল তিনটায় সভা ডেকে আগামী বুধবার বিতরন করার তারিখ নির্ধারণ করা হয়।

এ বিষয়ে কয়েকজন এলএফএফ এর সাথে কথা হয়, বাউরা ইউনিয়নের এলএফএফ লেবু ইসলাম বলেন ইতিমধ্যে ৩৬ টি ঘর বিতরণ হয়েছে। কাঠ গুলো খুবই মানসম্মত এবং বিশেষ করে টিনের মান খুবই ভালো থাকার কারণে আমাদের কোন অভিযোগ নেই। এদিকে উপজেলা কর্মকর্তা বলেন উনি নাকি মাল এখনো গ্রহণ করে নি। তাহলে বিতরনের বিষয়টি কিভাবে আসে।

তিনি আরো বলেন, উদ্বোধনের আগেই ৩৬ টি মুরগির ঘর বিতরণ হয়ে গেছে, ইতোমধ্যে জেনেছি। তার কাছে এই ৩৬টি ঘর পাওয়া উপকারভোগী ব্যক্তিদের ফোন নাম্বার ও ঠিকানা জানতে চাইলে তখন বিভিন্নভাবে বিষয়টি তালবাহানা করে কাটিয়ে দেয়।

প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে পাটগ্রাম উপজেলায় ৩ টি হাঁসের ঘর ও ৫৫ টি মুরগির ঘর বিতরণের জন্য বরাদ্দ আসে। প্রতিটি ঘর নির্মাণে ৭ হাজার ৫শ ৫৯ টাকা করে মোট ৪ লাখ ৩৮ হাজার ৪শ ২২ টাকা ব্যয় ধরা হয়। কিন্তু এসব ঘর নির্মাণে নিম্নমানের টিন ও কাঠ ব্যবহার করা হচ্ছে।

এসব নিম্নমানের টিন ও কাঠ সম্পর্কে পাটগ্ৰাম উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোতাহারুল ইসলাম কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হাঁস মুরগির ঘর গুলো আমি দেখেছি সেগুলো সম্পূর্ণ ড্রয়িং ও এস্টিমেট অনুযায়ী মানসম্মত কাজ হয়েছে, ভালো আছে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নিম্নমানের হাঁস মুরগির ঘর গুলোকে কেন মানসম্মত ও ভালো হিসাবে দেখছেন তার উত্তর এখনো দিতে পারেনি।

বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের সীমান্তবর্তী সুবিধাবঞ্চিত ৮৬ টি এলাকা ও নদী বিধৌত চরাঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে পাটগ্রাম উপজেলায় ৫৫ টি মুরগির ঘর ও ৩ টি হাঁসের ঘর নির্মাণের বরাদ্দ দেওয়া হয়।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments